বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জন্মেই সে দেখল ‘ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৬

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা অনুভব কবিতার প্রথম দুটো লাইন দিয়ে মরক্কোর এ শিশুটির প্রথম অনুভূতি প্রকাশ করা যায় খুব সহজেই। সে যদি অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভেই কথা বলতে শিখতো, হয়তো জন্ম নিয়েই বলে উঠতো ওই দুটি লাইন- ‘অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি/ জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।’ এক বিচলিত, ব্যাকুল পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় হলো তার।

এ পৃথিবীতে এসেছে সে তখন মাত্রই। তখনও কোনো নাম নেই সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকটির। মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে চারপাশে সে দেখতে পেল এক অন্য সময়, অন্য জগত। এটাই তার দেশ, এই তার ভূমি। হয়তো এরই নাম এক ‘ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি’।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা অনুভব কবিতার প্রথম দুটো লাইন দিয়ে মরক্কোর এ শিশুটির প্রথম অনুভূতি প্রকাশ করা যায় খুব সহজেই। সে যদি অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভেই কথা বলতে শিখতো, হয়তো জন্ম নিয়েই বলে উঠতো ওই দুটি লাইন- ‘অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি/ জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।’ এক বিচলিত, ব্যাকুল পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় হলো তার।

৮ সেপ্টেম্বর মরক্কোর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটির পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির তাণ্ডবে অ্যাটলাস মাউন্টেন অঞ্চলের কিছু পাহাড়ি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২১১২ জনের। আহত হয়েছেন ২৪২১ জন।

বিবিসি বলছে, ভূমিকম্পের মাত্র কয়েকমিনিট আগেই খাদিজা বেগম একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। তার নাম ঠিক হয়নি এখনও। তারা আশ্রয় নিয়ে আছেন একটি তাঁবুতে।

খাদিজা জানান, তিনি যে হাসপাতালে ছিলেন, ভূমিকম্পে তা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আফটার শকের ভয়ে তাদের চলে যেতে বলেন। দ্রুতই তাদের হাসপাতাল ছাড়তে হয়।

সন্তান প্রসবের মাত্র তিন ঘণ্টার মাথায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন জানিয়ে সদ্য মা হওয়া এই নারী বলেন, ‘তারা আমাদের বলল, আমাদের যেতে হবে। আফটার শক হতে পারে।’

ওই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে এখনও উদ্ধার তৎরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা। হাসপাতালগুলোতে মরদেহ আর মরদেহ। আহতদের চিকিৎসা চলছে নানা হাসপাতালে। ধ্বংসস্তুপের কাছে গিয়ে স্বজনদের খুঁজছেন অনেকে।

ভূমিকম্পের পরদিন শনিবার সকালে অ্যাটলাস মাউন্টেনের টাডার্ট অঞ্চলে বাড়িতে যেতে খাদিজা এবং তার স্বামী একটি ট্যাক্সি ভাড়া করেন। তবে যাওয়ার পথে তারা আটকা পড়েন ধসে যাওয়া একটি সড়কের মাথায়। সেখানেই তাঁবুতে আশ্রয় নেন তারা।

কথা বলতে বলতে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো সহযোগিতা পাননি জনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খাদিজা। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সহায়তাই পাইনি।’

এ বিভাগের আরো খবর