বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাশ্মীরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ভারত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ২১:১৩

২০১৯ সালে সায়ত্বশাসনের মর্যাদা হারানোর পর থেকেই তা ফিরে পেতে আদালতে মামলা লড়ছে কাশ্মীর প্রশাসন। এ বিষয়ে আদালতে ভারত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন তুষার মেহতা।

২০১৯ সালে বিতর্কিত ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে ভারত সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কাশ্মীর। এবার অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুত বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরে যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে সেখানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিলেই তারা কাজ শুরু করবেন।’

২০১৯ সালে সায়ত্বশাসনের মর্যাদা হারানোর পর থেকেই তা ফিরে পেতে আদালতে মামলা লড়ছে কাশ্মীর প্রশাসন। এ বিষয়ে আদালতে ভারত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন তুষার মেহতা।

ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সর্বশেষ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে।

চলটি বছরের ২ আগস্ট দেশটির প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ কাশ্মীরী ও অন্যান্য গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিদের করা পিটিশনের শুনানি শুরু করে। ওই পিটিশনে দাবি করা হয়, ৩৭০ ধারা বাতিল করার জন্য ভারতের পদক্ষেপ পুরোপুরি বৈধ ছিল না।

বিলোপ করা ওই আইনে ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দাদের সম্পত্তি ও চাকরির ওপর একচেটিয়া অধিকার ছিল। সেইসঙ্গে কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান থাকার অনুমতি ছিল।

এ আইনে বহিরাগতদের স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন বা এ অঞ্চলে সম্পত্তি ক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও স্বশাসিত কাশ্মীরের অধিকার দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

কাশ্মীরের হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলটি এখনও অস্ত্রধারী ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের দখলে। উভয় দেশই এ অঞ্চলটিকে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে লড়াই লেগেই থাকে। লড়াইয়ে এ পর্যন্ত দুই দেশেরই সেনাসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। সেসময় মোদি সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা অপসারণ করে এবং কাশ্মীরকে ভারতের একটি ফেডারেল অঞ্চলে পরিণত করে দিল্লির সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

এরপর থেকে মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার বেশ কয়েকটি আইন ও নীতি পাস করেছে যা এ উপত্যকার বাসিন্দাদের মতে, ওই অঞ্চলের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের জমি ও জীবিকার ওপর তাদের ঐতিহাসিক অধিকার অস্বীকার করার উদ্দেশে করেছে ভারত সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর