বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছেলেকে নিজের পদে বসিয়ে ৩৮ বছর পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন হুন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ জুলাই, ২০২৩ ১৭:০৩

২৩ জুলাই দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়নি মন্তব্য করে কম্বোডিয়ার কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদী শাসকদের অন্যতম কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।

ছেলেকে তার পদে বসিয়ে আসন্ন আগস্ট মাসে তিনি পদ ছাড়তে যাচ্ছেন বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

২৩ জুলাই দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়নি মন্তব্য করে কম্বোডিয়ার কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ অবস্থাতে নানা আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হুন সেন পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। তিনি এ ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন তিনি। আগামী ১০ আগস্ট এ পদে তার বড় ছেলে হুন মানেত দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

৭০ বছর বয়সী হুম সেন কম্পোডিয়ার ক্ষমতায় আছেন ৩৮ বছর ধরে। তাকে এক ধরনের স্বৈরশাসকও বলা হয়।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিশেষ ভাষণে হুন সেন বলেন, ‘জনগণের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি প্রধানমন্ত্রী পদে আর দায়িত্ব পালন করবো না।’

তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকলে ‘অস্থিতিশীলতা’ তৈরি হতে পারে বিধায় সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানান হুন সেন। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়লেও ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির প্রধান হিসেবে তিনিই থাকবেন বলে জানান।

হুন ছেলে মানেতকে নিজের উত্তরসুরী হিসেবে আগে থেকেই প্রস্তুত করছিলেন। তাকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলের প্রচারণায় অগ্রভাগে দেখা যায়।

মানেত বর্তমানে রয়্যাল কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী টাস্কফোর্সেরও প্রধান।

হুন সেনের দল ক্যাম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) জানায়, ২৩ জুলাইয়ের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১২৫ আসনের মধ্যে ১২০টিতেই তারা জয়ী হয়েছে।

এবারের জয়ের ফলে আরও পাঁচ বছর তার দলই দেশ শাসন করবে। নির্বাচনের আগে সিপিপির একমাত্র শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যান্ডললাইট পার্টিকে নিষিদ্ধ করায় কার্যত একপক্ষীয় নির্বাচনই হয়।

এ বিভাগের আরো খবর