‘কম্বোডিয়ার জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি’ অভিযোগ এনে দেশটির সরকারপক্ষের বেশকিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, দেশটিতে সহযোগিতার খাতও কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার কম্বোডিয়ার জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হান সেনের দল নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে অযোগ্য ঘোষণা করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। নির্বাচনে মোট ১২৫ আসনের মধ্যে ১২০টিতে জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ব্যালটে ভোটগ্রহণের এ নির্বাচনটি অবাধ হয়নি; হয়নি সুষ্ঠুও।
সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (আসিয়ান) প্রতিনিধিদের ডাকা এক বৈঠকেও কম্বোডিয়ার নির্বাচনের সমালোনা করা হয়।
এ বছরের মে মাসে সিপিপির প্রধান নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে দলটির সমর্থকদের ভয়ভীতি এবং গ্রেপ্তার হতে হয়েছে বলেও এশিয়া নিক্কেইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে মিলার বলেন, ‘দেশটির বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে হুমকি ও হয়রানিতে নিয়োজিত বর্তমান কম্বোডিয়া সরকার। এটি দেশটির সংবিধান ও আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছে। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে দেশটির জনগণ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তাদের ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচনের ক্ষমতা হারিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সে সঙ্গে দেশটিতে বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিতে বিরতি বাস্তবায়ন করা হবে।’
তবে কোন কোন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
বিবৃতিতে দেশটির প্রতি সহযোগিতার দরজা এখনও উন্মূক্ত রাখলেও সিপিপিকে দেশটিতে কর্তৃত্ববাদী কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।