শচীন নামে ভারতীয় নাগরিকের প্রেমে পড়ে নেপাল সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে আইনি ঝামেলায় পড়েছেন পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দার।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের আইন অনুযায়ী সীমা ‘অবৈধ অভিবাসী’। ফরেইনার্স অ্যাক্ট ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি) ধারায় গত ৪ জুলাই সীমা, তার প্রেমিক শচীন ও শচীনের বাবাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্ত হন সীমা। বর্তমানে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করা সীমা ভারতকে নিজের বাড়ি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, তবে দেশটিতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার সামনে।
ভারতের আইন অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসী হওয়ায় ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন না সীমা। তাকে যে ফরেইনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬ অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয়, সে আইন অনুযায়ী, ভিসায় নির্ধারিত সময়ের বেশি ভারতে অবস্থান করলে কিংবা ওই আইনের ধারা লঙ্ঘন করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আইনে জরিমানার বিধানও রয়েছে।
পাকিস্তান থেকে আসা সীমার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি) ধারা অনুযায়ীও অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধারা অনুযায়ী অপরাধীর দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, গত ৭ জুলাই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়া হয় সীমাকে। জামিনের শর্ত অনুযায়ী, আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি ভারত ছাড়তে পারবেন না। ঠিকানা পরিবর্তন করলেও সেটি আদালতকে জানাতে হবে তাকে।
জামিন পেতে ৩০ হাজার রুপির দুটি বন্ডও জমা দিতে হয় পাকিস্তানি এ নারীকে।
সীমা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে গেলে তাকে হত্যা করা হতে পারে। এ কারণে দেশটিতে ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই তার।
এমন বাস্তবতায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা নারী কী ধরনের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।