দেশের পূর্ব উপকূল থেকে বুধবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া, যেটিকে দূরপাল্লার মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী দুই দেশ সাউথ কোরিয়া ও জাপানের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানিয়েছেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাউথ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস স্টাফ জানায়, পিয়ংইয়ং এলাকা থেকে স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১০টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্রটি দূরপাল্লার।
জাপানের কোস্ট গার্ড, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করেছে।
দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো সাংবাদিকদের জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭৪ মিনিট আকাশে ছিল। এটি ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে। এটিই উত্তর কোরিয়ার ছোড়া কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বেশি সময় আকাশে থাকার ঘটনা।
জাপানের কোস্ট গার্ড জানায়, কোরিয়া উপদ্বীপের পূর্বে সমুদ্রে নিপতিত হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি।
চলতি সপ্তাহে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি-ধমকি বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো জং কোরিয়া উপদ্বীপের জলসীমার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের পরিকল্পনার নিন্দা জানান। কোরিয়ার আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিমানকে ভূপাতিত করার হুমকিও দেন তিনি।
এ বিষয়ে সিউলের এওহা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লেইফ-এরিক ইসলে বলেন, কিম ইয়ো জংয়ের বক্তব্য বাইরের হুমকিকে বড় করে দেখিয়ে অভ্যন্তরীণ সমর্থন জোগানোর পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বৈধতা তৈরির উত্তর কোরীয় একটি ধরন।
জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাতসুনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের ‘মারাত্মক উসকানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বেইজিংয়ের কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এর ‘কড়া প্রতিবাদ’ জানানো হয়েছে।
জাপানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই উত্তর কোরিয়ার। এ কারণে দেশটি চীনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার কাছে কূটনৈতিক বার্তা পাঠানোর কথা বলেছে।