ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নতুন করে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে মস্কো। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইরানের তৈরি ‘শাহেদ ড্রোন’।
তবে সোমবার রাতের এসব ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
লিথুনিয়ায় ন্যাটো সম্মেলন শুরুর প্রস্তুতি চলছে। এ সম্মেলনে পশ্চিমা সামরিক জোটটিতে ইউক্রেনের যোগদান নিয়ে কথা হবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সমর্থন আদায়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এদিকে ন্যাটোতে যোগ দিলে কিয়েভে যে কোনো কঠোর সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা রয়েছে রাশিয়ার। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে হামলা হলো।
টেলিগ্রামে দেয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এক জেনারেল সেরহি পোপকো বলেন, ‘এ মাসে দ্বিতীয়বারের মতো আকাশপথে কিয়েভে হামলা হলো। তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই ড্রোনগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
এদিকে ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।
বুধবার তাদের এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই শীর্ষ সম্মেলনে জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বাইডেনের সঙ্গে তার বৈঠক ঐক্যের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের জন্য দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ন্যাটো নেতাদের শীর্ষ আলোচ্যসূচির মধ্যে অন্যতম, যার ফলে নেতাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভাজন।
প্রতিবেদন বলছে, সম্মেলনের আলোচ্যসূচি ইউক্রেন আধিপত্যকে বিস্তৃত করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে জেলেনস্কির পেছনে মদতদানকারী গোষ্ঠীগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চান বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে সব কিছু ছাড়িয়ে ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানে বাধা ‘যুদ্ধ’। সদস্যভুক্ত অনেক দেশই যুদ্ধচলাকালীন দেশটিকে জোটভুক্ত করতে আগ্রহী নয়।
এসব দিক বিবেচনায়, কিয়েভে রাশিয়ার নতুন হামলা বিশেষ কোনো বার্তা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।