আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ডুবোযান টাইটান বিপর্যয়ের ঘটনার পর গভীর সমূদ্রে ভ্রমণ-সংক্রান্ত সব ধরণের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেট।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ওশানগেটের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে।
রয়টার্স জানায়, ২০২৪ সালের জুনে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর উদ্দেশে দুটি অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিল ওশানগেট। কিন্তু এবার তা বাতিল হলো। এদিকে আটলান্টিকের তলদেশে অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে ওশানগেটের ডুবোযান টাইটানের চুরমার হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে। টাইটান বিপর্যয়ের পরও সমুদ্রের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দেয় ওশানগেট, যা নিয়ে বিতর্কও হয়। কিন্তু এবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা তাদের সব অনুসন্ধানমূলক ও বাণিজ্যিক অভিযান বন্ধ রাখছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
ওশানগেটের ওয়েবসাইটে একটি লাল ব্যানারে কেবল জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘ওশানগেট সব অনুসন্ধানমূলক ও বাণিজ্যিক যাত্রা রাখছে।’ ধারণা করা হচ্ছে, টাইটান বিপর্যয় ঘিরে সমালোচনার মুখে প্রতিষ্ঠানটি পিছু হটেছে। গত ১৮ জুন টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিকের গভীরে ডুব দেয়ার পরই ওশানগেটের পর্যটকবাহী ডুবোযান টাইটান বিস্ফোরণে চুরমার হয়ে যায়।
এতে নিহত হন ওশানগেটের সিইও এবং চালক স্টকটন রাসম, পাকিস্তানি-ব্রিটিশ ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান দাউদ, ব্রিটিশ অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ধনকুবের হামিস হার্ডিং এবং ফরাসির সাবেক ডাইভার পল-হেনরি নারগোলেট। আটলান্টিকে কয়েক দিন ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর এ ধরনের অভিযানের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।