শাক-সবজির দাম বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ছে ভারতের নয়দিল্লিতে। তাপপ্রবাহ, ভারী বর্ষণ এবং সরবরাহে ঘাটতি কারণে এমন বিপত্তির মুখে পড়ছেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবারের বাজার দরের তথ্য দিয়ে এ কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমম এনডিটিভি।
নয়াদিল্লিতে এদিন টমেটো বিক্রি হয়েছে ১৪৫ রুপি কেজি। ফুলকপির পিস ৮০ রুপি, ৩৮০ রুপি কেজি বিক্রি হয়েছে আদা।
কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৭০ রুপি। এ ছাড়া অন্য কিছু সবজির জন্যও বাড়তি খরচ হয়েছে ভোক্তাদের।
একজন ক্রেতা বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, কাঁচা বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে। যেসব সবজি ২০ রুপিতে বিক্রি হতো কদিন আগেও, এখন তার দাম দ্বিগুণ হয়েছে। টমেটোর দাম সবচেয়ে বেড়েছে।
আরেক ক্রেতা বলেন, বিক্রেতারা আমাকে বলেছেন, সবজি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দূর থেকে আনা হচ্ছে; এ কারণে দাম বেশি। বেশ কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণে ট্রাক চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে টমেটোর দাম বাড়ায় কর্ণাটকে এক নারীর ফার্মের আড়াই লাখ মূল্যের টমেটো চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্ষা আসতে না আসতেই পশ্চিমবঙ্গেও শাক-সবজির দাম বেড়েছে বেশ। কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের দামই এখন চড়া।
রাজ্যের উত্তর কলকাতার জনবহুল এলাকা মানিকতলা কাঁচাবাজারে সোমবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ রুপি প্রতি কেজি। আদার দামও কেজিতে ৩০০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া টমেটোর কেজি ছিল ২০০ রুপি।
বেগুনের কেজি ১৬০, উচ্ছে ১২০, পটল, ঝিঙে, বরবটি ১০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এক কেজি শশা বিক্রি হয়েছে ৮০ রুপিতে। কেজিপ্রতি ঢেঁড়স ৫০ রুপি।
বেড়েছে আলুর দামও। জ্যোতি আলু ২২-২৪ রুপি এবং চন্দ্রমুখী আলুর দাম ২৬-২৮ রুপির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় ক্রেতাদের।
এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেয়া টাস্ক ফোর্স। সল্টলেকের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও ব্য়ারাকপুর, বারুইপুর ও হাওড়াতেও চলছে নজরদারি।