তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি তথা একে পার্টির প্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে তার ২০ বছরের শাসনকাল আরও পাঁচ বছর বাড়ল।
বহুল আলোচিত এ নির্বাচনে প্রায় সব ব্যালট বাক্স গণনা শেষে এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) প্রধান কামাল কিলিচদারোলু পান ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।
এশিয়া ও ইউরোপ বিস্তৃত দেশটিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির পর অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ কারণে এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জয় নিয়ে শঙ্কা ও সম্ভাবনার আলোচনা ছিল বিশ্বজুড়ে।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে শঙ্কার প্রতিফলনও দেখা গেছে। সে দফায় এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও ৫০ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে।
গতকালের ভোটের আগে এরদোয়ান সমর্থন পান প্রথম দফায় ৫ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়া সিনান ওগানের। এর মধ্য দিয়ে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ব্যালটেও হয়েছে তাই।
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে এরদোয়ানের জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
সামরিক জোট ন্যাটোতে তুরস্কের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী এরদোয়ানকে তাদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।
এক টুইটে বাইডেন লিখেন, ‘ন্যাটো মিত্র হিসেবে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও যৌথ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সানন্দে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ককে ‘মূল্যবান ন্যাটো মিত্র ও সহযোগী’ হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘তুরস্কের জনগণের বেছে নেওয়া সরকারের সঙ্গে আমাদের অব্যাহত যৌথ কাজের বিষয়ে সানন্দ প্রতীক্ষায় আছি।’
তুরস্কে দ্বিতীয় দফা ভোটে ব্যাপক উপস্থিতি এবং দেশটির ‘দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ইতিহাসের’ প্রশংসাও করেন ব্লিঙ্কেন।