বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইতালিতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৯, গৃহহীন ১৩ হাজার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ মে, ২০২৩ ১৯:১৬

বন্যা আসার পর রাতারাতিই হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় দমকল বাহিনী বন্যার্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছে।

ইতালির উত্তরাঞ্চলের এমিলিয়া-রোমানিয়া প্রদেশে প্রবল ঝড়ের পর বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। ভয়াবহ এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, ওই অঞ্চলে মাত্র দেড় দিনে অন্তত ৬ মাসের বৃষ্টিপাত হয়েছে, যাতে ২০টির বেশি নদী প্লাবিত হয়। এতে ইতালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রিমিনি ও বোলোনিয়া শহরের ১১৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকা এখন বানের পানিতে ভাসছে।

গত দুদিনে ৩৭টি শহর ও এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে; সেই সঙ্গে ২৮০টির বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এমিলিয়া-রোমানিয়া অঞ্চলের রাজধানী বোলোনিয়ায় অন্তত একটি সেতু ধসে পড়েছে, কিছু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

ইতালির নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেল্লো মুসুমেচি বলেন, ‘জয়বায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যে ইতালিতে পৌঁছেছে। ৩৬ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়।’

কয়েক জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০ সেন্টিমিটার ছাড়িয়েছে বলে জানান তিনি।

৭১ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা রবের্তা লাস্সারিনির বাড়ি বুধবার রাতে এক ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায়। তিনি বলেন, ‘গত দুদিন ধরে এখানকার অবস্থা খুব খারাপ। কাদা ও পানিতে সমগ্র এলাকা ভেসে গেছে।

‘এখানে আমি এ পর্যন্ত এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে দেখিনি। বন্যার পানিতে ভাঙা ঘরের মধ্যে আমি আটকে গিয়েছিলাম। এমন ঘটনা যেন এখানে আর না ঘটে, সে কামনা করি!’

বন্যায় ওই এলাকায় বিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এমিলিয়া-রোমানিয়ার প্রাদেশিক সরকারের প্রধান স্তেফানো বোনাচ্চিনি।

বন্যা আসার পর রাতারাতিই হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় দমকল বাহিনী বন্যার্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছে।

নেল্লো মুসুমেচি এ ঘটনাকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘যখন বৃষ্টি হয় না, তখন দীর্ঘদিন ধরে খরা চলছে। ফলে ভূপুষ্ঠের মাটি শক্ত হয়ে পানি শোষণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর যখন বৃষ্টি হয়, তখন বৃষ্টির পানি মাটি ভেদ করে ভূগর্ভে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে অল্প বৃষ্টিপাতেই বন্যা হচ্ছে।’

ঘন ঘন বন্যার কারণে অনেকেই মনে করছেন জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ইতালির একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিৎ।

গত ৪০ বছরে ওই অঞ্চলে কোনো বাধ নির্মাণ করেনি দেশটির সরকার। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেখানে হাইড্রোলিক প্রযুক্তির বাধ নির্মাণ করা উচিৎ ছিল বলে মত অনেকের।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে এমিলিয়া-রোমানিয়া অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির সময় অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর