বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শঙ্কা কাটিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াল রাশিয়া

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ মে, ২০২৩ ১৮:২২

এর আগে দু’বার ওই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও ১৮ মে’র মধ্যে নিজেদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু শর্ত পুরণ না হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দেয় রাশিয়া।

কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য সারাবিশ্বে পৌঁছানোর ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’র মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২২ সালের জুলাইতে হওয়া এ চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানো হলে আমদানিনির্ভর দেশগুলো বিপদে পড়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য সংকট আরো বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে চুক্তি নবায়নে সম্মত হয়েছে যুদ্ধরত দুই দেশ।

বুধবার আরও দুই মাসের জন্য রাশিয়া ওই চুক্তি নবায়ন করতে সম্মত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

দুই দেশের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও তারা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সহযোগিতার একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ স্থাপন করলো।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের দুটি বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো না আটকানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।

জাতিসংঘ মহাসসিচব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই চুক্তি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি হয়।’

এর আগে দু’বার ওই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও ১৮ মে’র মধ্যে নিজেদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু শর্ত পুরণ না হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দেয় রাশিয়া।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সৃষ্ট বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সামাল দিতে ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্ততায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ হয়। ওই চুক্তির আওতায় ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরেরে রাশিয়া অধ্যুষিত অঞ্চল দিয়ে সারা বিশ্বে শস্য রপ্তানির অনুমোদন পায়।

নভেম্বর মাসে আরও তিন মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে এ বছরের মার্চ মাসে নিজেদের শস্য রপ্তানির বিষয়ে কিছু শর্ত আরোপ করে আরও দু’মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয় রাশিয়া।

চুক্তির ফলে বিশ্ববাজারের ঊর্ধ্বমুখী খাদ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই চুক্তি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বে আবারও খাদ্য সংকট ও খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেন বিশেষজ্ঞরা।

চুক্তির ব্যাপারে রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর বুধবার চুক্তির মেয়াদ নবায়নে সম্মতি দেয় রাশিয়া।

বুধবার চুক্তি নবায়নের আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘চুক্তিতে আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে এখনও অনেকগুলো প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়।’

তবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসৌলু চুক্তির মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়তে পারে বলে আগেই আশা প্রকাশ করেছিলেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দেশটির খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি ওই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়।

কিন্তু মস্কো অভিযোগ, অর্থ লেনদেন, বীমা ও কৌশলগত বিধিনিষেধ শস্য রপ্তানিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে বানিজ্যিক ক্ষতি ও সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে রাশিয়ার শর্তগুলো না মানলে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবে না রাশিয়া।

রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারির পর কোনো জাহাজ মালিক বা বীমা কোম্পানির কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

তবে চুক্তি নবায়নের ফলে বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতি অন্তত আরও দুমাসের জন্য স্বাভাবিক থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।

এ বিভাগের আরো খবর