ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে মিয়ানমারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে দেশটির উপকূলে। ক্রমেই তা এ গিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে হচ্ছে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়।
উদ্ধারকারী দলের বরাতে মিয়ানমার নাও বলছে, শান রাজ্যের টাচিলেক শহরে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের সময় চাপা পড়া এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের পাইন ও লুইন শহরে প্রবল বাতাসের মধ্যে একটি গাছ পড়ে গেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পিষ্ট হয়ে মারা যান।
মিয়ানমারের সামরিক তথ্য অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে সিটওয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, সেলফোন টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিটওয়ে থেকে তিন লাখ বাসিন্দার মধ্যে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্য শহরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরের উচ্চভূমিতে অবস্থিত মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলের মতো মজবুত ভবনগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
মিয়ানমারে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রতিনিধি টিটন মিত্র এই টুইটে বলেছেন, ‘মোখা আঘাত হেনেছে। দুই মিলিয়ন মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসলীলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রাখাইন রাজ্যে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। উল্টে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্কের বেশ কিছু টাওয়ার। ফোনের নেটওয়ার্কসহ বন্ধ হয়ে গেছে ইন্টারনেট সেবাও।
মোখার প্রভাবে প্রবল ঝড় বইছে রাজ্যের সিটওয়ে শহরে। সঙ্গে আছে বৃষ্টি। এমন ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে জানিয়ে মিয়ানমারের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাখাইন উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১২০ মাইল বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে এবং জোয়ার-ভাটা ২০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে।
জরুরি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সিটওয়ের কিছু অংশে বন্যা দেখা গেছে এবং স্থানীয়দের সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বাড়িঘর এবং অবকাঠামোর বড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।