এক দিনের ব্যবধানে ফের বন্দুক হামলা হয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশ সার্বিয়ায়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হামলাকারী চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।
রাজধানী বেলগ্রাডের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি গ্রামের ওই ঘটনায় আটজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হন।
এর আগে বুধবার বেলগ্রাডের একটি স্কুলে ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্র সহপাঠীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৯ জন নিহত হয়।
দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, হামলাকারী এখনও গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন সড়কে গাড়ি থামিয়ে আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে অপরাধীর অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী হামলাকারী স্বয়ংক্রিয় বন্দুক ব্যবহার করে মানুষকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে সেখানে হেলিকপ্টারসহ পুলিশের বিশেষ দল পাঠানো হয়।
সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাতিস্লাভ গ্যাসিক এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারাও শঙ্কামুক্ত নন।
সার্বিয়ায় এ ধরনের গুলির ঘটনা বিরল। দেশটিতে অস্ত্র আইন কঠোর, তবু ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সার্বিয়ার সাধারণ নাগরিকদের কাছে বেশি অস্ত্র রয়েছে।
২০১৯ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সার্বিয়ায় ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ দশমিক ১ জন অস্ত্রধারী।
এই বন্দুক হামলার ঘটনার পর অস্ত্র আইন আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন সার্বিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।