জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর হামবুর্গে ‘জিহোভা’স উইটনেস’ নামের একটি গোষ্ঠীর গির্জায় বৃহস্পতিবার রাতে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ওই হামলা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে এখন পর্যন্ত কী কী বিষয় জানানো হয়েছে, তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।
রয়টার্স
পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গির্জায় বন্দুক হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন। হামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হামলাকারীদের একজন থাকতে পারে।
পুলিশ হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে, তবে ঠিক কতজন এ হামলায় নিহত হয়েছেন, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাহিনীটি।
জার্মানির বৃহত্তম বন্দরের শহর হামবুর্গের মেয়র হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হল নামের শহরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরে সিনাগগে বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত হয়েছিলেন।
বিল্ড
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, হামবুর্গের আলসতেরদরফ এলাকায় গির্জায় ‘রক্তগঙ্গা’য় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পরপরই গির্জার প্রার্থনা ভবন কিংডম হলে প্রাণঘাতী হামলা শুরু হয়।
বিল্ডের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, হামলায় সাতজন নিহত ও কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশের বরাত দিয়ে বিল্ডের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বড় পরিসরে হামলা হয়েছে। দুর্যোগ সতর্কীকরণ অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘চরম বিপদের’ কথা জানানো হয়েছে।
হামবুর্গার অ্যাবেন্ডব্লাট
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দিলবুজ সড়কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গির্জার কমিউনিটি রুমগুলোতে হামলায় কয়েকজন হতাহত হন।
হামলায় অংশ নেন বেশ কয়েকজন, যেটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। দুই ঘণ্টা পর ৯টা ৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ হামলার খবর পায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চারবার গুলি চালানো হয়েছে, যাতে বেশ কিছু গুলি ছোড়া হয়।
বিবিসি
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, গির্জার মিটিং হলে বন্দুক হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন।
পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একজন বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে জার্মানির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রাণ হারানো ছয় বা সাতজনের মধ্যে হামলাকারী রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
পুলিশের মুখপাত্র হোলগার ভেহরেন বিবিসিকে জানান, পুলিশ ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করতে পারেনি। ক্রাইম সিনে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি, তা হলো এখানে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, হামলার কারণ ‘এখনও সম্পূর্ণ অজানা’।