ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে চীনের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির চার কর্মকর্তা ও অন্য কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য চীনের ওপর ভবিষ্যৎ কোনো বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে গ্রুপ অফ সেভেন বা জিসেভেন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন নিশ্চিত করা।
চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে চাইছে, তা পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে কোনো আলোচনা প্রকাশ্যে আসেনি।
নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ওয়াশিংটন ও মিত্ররা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বলেছে, রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে চীন, যা অস্বীকার করেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহকারীরা চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি।
অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে চীনকে সরাসরি সতর্ক করে দিয়েছেন জো বাইডেন ও তার সহকারীরা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বৈঠক এবং পূর্ব এশিয়ার দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইর সঙ্গে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের গত ১৮ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে বেইজিংকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসনের প্রাথমিক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে স্টাফ ও কূটনৈতিক পর্যায়ে মতৈক্য তৈরির আলোচনা করা।
ওই সূত্রগুলোর ভাষ্য, বেইজিংয়ের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইউক্রেনে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেয়া কিছু দেশকে মাথায় রেখে মাঠ তৈরির কাজ করছেন।
বেইজিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ওয়াশিংটন আলোচনা করেছে এমন একটি দেশের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়াকে চীনের সম্ভাব্য সামরিক সহায়তার বিষয়ে খুবই কম গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে তাদের কাছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা মিত্রদের কাছে বড় পরিসরে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছেন।