বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদানির ‘সর্বনাশ’-কে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলছেন ট্রাকচালকরা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৮

আমেরিকান গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের আলোচিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২৪ জানুয়ারি। প্রতিবেদনে আদানির বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এরপরই শুরু হয় আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদরে রেকর্ড পতন।

বহুল আলোচিত হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনের পর থেকেই বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ক্রমেই নিচের দিকে নামছে ভারতের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী গৌতম আদানি । গত বুধবার ফোর্বস ম্যাগাজিনের ধনীদের তালিকায় আদানি নেমে এসেছেন ২৬ নম্বরে। এদিকে আদানির ব্যবসায় ধসে খুশি ট্রাকচালকরা। তারা এটিকে ‘ ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ হিসেব আখ্যায়িত করছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর ট্রাক ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে ভারতের হিমাচল প্রদেশ থেকে আদানি গ্রুপের দুটি সিমেন্ট কারখানা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সময় আদানি গ্রুপ জানায়, অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়ার কারণে কারখানা দুটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার সিমেন্ট পরিবহনকারী ট্রাকগুলোর মালিক এবং চালকরা। তাদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ৭ হাজার ট্রাক মালিক ও চালক আদানির কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিলেন। তবে শর্তসাপেক্ষে কারখানাগুলো আবার খুলতে সম্মত হয়েছে আদানি গ্রুপ।

অনেকের ধারণা হিনডেনবার্গের ওই প্রতিবেদনের কারণেই কারখানা খুলতে বাধ্য হচ্ছে আদানি। আর তাই হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলেই ধরে নিয়েছেন ওই ট্রাকচালক এবং মালিকরা।

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া আগের চেয়ে ১০-১২ শতাংশ হারে কমানোর শর্তে বিষয়টির ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান’ করা হয়েছে বলে গত সোমবার আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আমেরিকান গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের আলোচিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২৪ জানুয়ারি। প্রতিবেদনে আদানির বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এরপরই শুরু হয় আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদরে রেকর্ড পতন।

গত প্রায় এক মাসে আদানি গ্রুপের সম্পদ এক ধাক্কায় অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। যদিও অভিযোগের বিষয়টিকে প্রথম থেকেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে আসছে গ্রুপটি।

রয়টার্স বলছে, কারখানাগুলো আবার খুলে দেয়ার ঘটনাটি আদানি গ্রুপের জন্য বড় কোনো বিষয় না হলেও ওই এলাকার ট্রাকচালক এবং মালিকদের জন্য একটি বড় বিজয় এবং আনন্দের বিষয়। যেখানে বেশিরভাগ মানুষের দৈনিক আয় ৭ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫৮০ রুপি)।

রাম কৃষ্ণ শর্মা নামে এক ট্রাকচালক নেতা বলেন, ‘হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনটি আমাদের এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি ট্রাকচালকদের একত্রিত করতে এবং রাজনৈতিক সমর্থন অর্জনে সহায়তা করেছে।’

তবে হিমাচলের ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার ক্ষেত্রে হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনের প্রভাব কতখানি ছিল সে বিষয়ে আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এ বিভাগের আরো খবর