প্রায় তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির কার্যালয়ে আয়কর কর্মকর্তাদের ‘করজরিপ’ শেষ হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটির দুই কার্যালয়ের ডিজিটাল বিভিন্ন রেকর্ড ও নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছেন।
দিল্লির কস্তুর্বা গান্ধি মার্গ এলাকার কার্যালয়ে প্রায় তিন দিন অবস্থানের পর জ্যেষ্ঠ সম্পাদকসহ ১০ জনের মতো কর্মী তাদের বাড়িতে ফিরেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির ডকুমেন্টারি সিরিজ প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর সংবাদমাধ্যমটির কার্যালয়ে এ জরিপ চালানো হয়, যার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বিদ্বেষ থেকে এ কার্যক্রম চালানো হয়নি।
‘জরিপ’ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি আয়কর বিভাগ। ধারণা করা হচ্ছে সোমবার বিভাগটি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, কর কর্মকর্তারা ভারতে বিবিসির জ্যেষ্ঠ কিছু কর্মীর মোবাইলফোন ক্লোন করেছেন। একই সঙ্গে তারা বিবিসি কর্মীদের ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ স্ক্যান করেছেন।
বিবিসির কর্মীরা জানান, ‘ট্যাক্স’, ‘ব্ল্যাক মানি’ কিংবা ‘বেনামি’ কিওয়ার্ড থাকা ডিভাইসগুলো স্ক্যান করেছেন কর কর্মকর্তারা।
বিবিসির বক্তব্য
জরিপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বিবিসির প্রেস টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আয়কর কর্তৃপক্ষ দিল্লি ও মুম্বাইয়ে আমাদের কার্যালয় ছেড়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে সহায়তা অব্যাহত রাখব এবং আশা করব বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হবে।
‘আমরা কর্মীদের সহায়তা করে যাচ্ছি (যাদের কাউকে কাউকে দীর্ঘ জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কিংবা রাত্রিযাপন করতে হয়েছে) এবং তাদের কল্যাণই আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে এবং আমরা ভারত ও বাইরের দর্শকদের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
টুইটে আরও বলা হয়, ‘বিবিসি বিশ্বস্ত, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং আমরা আমাদের সহকর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আছি, যারা ভীতি বা কোনো ধরনের সুবিধা ছাড়াই প্রতিবেদন অব্যাহত রাখবেন।’