তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
এমন বাস্তবতায় দেশ দুটিতে একেবারে ক্ষীণ হয়ে এসেছে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর শনিবারও ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেককে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প ১৯৩৯ সালের ভূকম্পনের পর সবচেয়ে সর্বনাশা। এতে প্রাণহানির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষের। পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় মৃত্যু হয় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি।
তুরস্কের হাতাই প্রদেশের রাজধানী আনতাকিয়া থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার বার্নার্ড স্মিথ জানান, ওই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও আশার আলো দেখেছেন অনেকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভূমিকম্পের পর ১৩৫তম ঘণ্টায়। কিন্তু এখনও আশা কিছুটা বেঁচে আছে। ১৩২তম ঘণ্টায় এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার কয়েক ঘণ্টা আগে একজন পুরুষ ও এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়নি।’
স্মিথ আরও বলেন, সরকার শহরের বিমানবন্দরটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চালুর পরিকল্পনা করছে।