পৃথিবী শান্তির দুর্ভিক্ষে ধুঁকছে বলে মন্তব্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকান থেকে বড়দিন বার্তায় রোববার এ মন্তব্য করেন পোপ।
এ সময় ইউক্রেনে ‘যুক্তিহীন যুদ্ধ’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সংকটে ‘অস্ত্র হিসেবে খাদ্য’ ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানান পোপ।
বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ গম রপ্তানি করে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান আক্রমণের পর থেকে বিশ্বজুড়েই গমের দাম বেড়ে যায়।
ফ্রান্সিসের পোপ পদ গ্রহণের পর থেকে এটি ছিল তার দশম বড়দিনের ভাষণ। পোপের ১০ মিনিটের বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশই ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, ‘এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাট্যমঞ্চে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলও ‘শান্তির দুর্ভিক্ষ’-এ ভুগবে।’
ভাষণে পোপ মধ্যপ্রাচ্য, মিয়ানমার, হাইতি এবং আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সংঘাত ও মানবিক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্যও প্রার্থনা করেন পোপ। ইসলামিক শাসনের ইরানে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রবল সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে, বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬৯ শিশুসহ ৫ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
- আরও পড়ুন: লোভে মানুষ প্রতিবেশীকেও গিলে ফেলছে: পোপ
সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারের ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে দেয়া বক্তৃতায় ৮৬ বছর বয়সী পোপ যুদ্ধের মানবিক মূল্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সময় খাবারের অপচয় এবং অস্ত্রের জন্য সম্পদ ব্যয় বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
পোপ বলেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ এই পরিস্থিতিকে আরও চাঙা করেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানে এবং হর্ন অফ আফ্রিকার দেশগুলোর জনগণকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলেছে।
‘আমরা জানি যে প্রতিটি যুদ্ধ ক্ষুধা সৃষ্টি করে। খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লোকজন ইতোমধ্যেই তা টের পাচ্ছে।’
পোপ বলেন, ‘যারা রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে তাদের উচিত খাদ্যকে কেবল শান্তির উপকরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।’