চীনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ হানা দিয়েছে ভারতে। পশ্চিমের গুজরাট এবং পূর্বের ওড়িশা রাজ্যে ৪ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে বিএফ.৭। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে সাব-ভ্যারিয়েন্টটি।
চীনের রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন শহরে বিএফ.৭ সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৬ জনের শরীরে সাব-ভ্যারিয়েন্টি শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫ হাজার ২৪২ জন।
করোনা নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠক শেষে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া টুইটে লেখেন, ‘কোভিড এখনও শেষ হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলোতেও জরুরি বার্তা (চিঠি) দিয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে আক্রান্তদের নমুনা পাঠাতে বলেছে দিল্লি। তারা মনে করছে, এতে সাবভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হবে।
স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল এবং চীনে আকস্মিকভাবে আক্রান্ত বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহভাজনদের নমুনার পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিং তৈরি করা অপরিহার্য।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার কোভিড পর্যালোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে এখন পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পায়নি। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতির ওপর দিনরাত নজরদারি প্রয়োজন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, বিএফ.৭ হলো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৫-এর একটি সাবভ্যারিয়েন্ট (উপ-বংশ)। টিকা নেয়া ব্যক্তিরাও পুনরায় এটির দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত আছেন ৩ হাজার ৪০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে।