ডিআর কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসির বুধবারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভারি বৃষ্টিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তলিয়ে যায়; ধসে পড়ে ঘরবাড়ি। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পার্বত্য এলাকার।
এ ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে কঙ্গো সরকার।
এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্যা ও ভূমিধসে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তবে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ জনে।
এএফপির এক সাংবাদিক একই পরিবারের নয়জনের মরদেহ দেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্লানচার্ড এমভুবু বলেন, ‘আমরা এমন বন্যা কখনও দেখিনি। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এর মধ্যেই আমার ঘর তলিয়ে যায়।’
প্রধানমন্ত্রী জিন-মিশেল সামা লুকোন্ডে মঙ্গলবার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে কিনশাসার কিছু অংশ পরিদর্শনে যান।
এমন দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন ডিআর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিশেকদি।
ওয়াশিংটনে ইউএস-আফ্রিকা সামিটে অংশ নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চাপে রয়েছে কঙ্গো, তবে পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছি না।’
২০১৯ সালে কঙ্গো নদীর তীরবর্তী কিনশাসা শহরে বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময় অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।