নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরানজুড়ে চলা বিক্ষোভে ২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরান সরকার এই প্রথমবারের মতো আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করল।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষদ সংস্থার পক্ষ থেকে এই নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। এতে বিক্ষোভকে দাঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন: খামেনির বিরুদ্ধে এবার তার ভাগনি সোচ্চার
বিবৃতিতে জানানো হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, বিদেশি মদদপুষ্ট দলের দাঙ্গা এবং বিপ্লববিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিরপরাধ ব্যক্তিরা নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মারা গেছে।
তবে কীভাবে তারা নিহত হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।কয়েকদিন আগেই ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহ জানান, ইরানে বিক্ষোভ ঘিরে অস্থিরতায় তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
তবে বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই আন্দোলনে চার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সঠিকভাবে হিজাব না করার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় ১৬ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনায় ক্রমান্বয়ে গোটা ইরানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের মদদে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তেহরানের নিরাপত্তা সংস্থার বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীদের মিডিয়া গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত একটি হাইব্রিড যুদ্ধ মোকাবিলা করছে ইরান।’
জাতিসংঘ ইরান সরকারকে বিক্ষোভকারীদের ওপর অসম শক্তি ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভোটের পর ইরানের আন্দোলন ইস্যুতে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা তদন্তে সহায়তা করবে না।