ভারতের উত্তরাখন্ডের সীমান্ত এলাকায় যৌথ সেনা মহড়া চালাচ্ছে দিল্লি-ওয়াশিংটন। এ নিয়ে চীনের আপত্তির সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি বেইজিংকে এ সামরিক মহড়া নিয়ে মাথা না ঘামানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার ভারতে নিযুক্ত মার্কিন দূত এলিজাবেথ জোনস সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে বলেছেন, ‘এ মহড়া নিয়ে চীনের নাক গলানোর দরকার নেই।’
এ সময় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যকেও সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
জোনস বলেন, ‘বিগত ৭ বছরে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়ে ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এরপর আলাদাভাবে আর ভারত-যুক্তরাষ্ট্রর মধ্যে বাণিজ্যচুক্তির কোনও প্রয়োজন নেই।’
উত্তরাখন্ড সীমান্তবর্তী আউলিতে যুদ্ধ অভ্যাস নামে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৮তম যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ভারত। যে জায়গায় মহড়া হচ্ছে সেটির অবস্থান চীন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং। চীন বলছে, এই মহড়া বেইজিং ও দিল্লির মধ্যে দুটি সীমান্ত চুক্তির মূল নীতির লঙ্ঘন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে চীনের সমঝোতা চুক্তির সঙ্গে এ যৌথ সামরিক মহড়ার সম্পর্ক নেই। উল্টো চীন এ চুক্তিগুলোর লঙ্ঘন করছে কি-না, তা নিয়ে ভাবার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
১৯৯৩ সালে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং সংলগ্ন এলাকায় শান্তি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
ভারত-চীনের সীমানা নিয়ে বিরোধ বেশ পুরোনো। ১৯৬২-র যুদ্ধের পর, ভারতের প্রায় ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার অংশ জুড়ে বিস্তৃত এই অঞ্চলটি দখল করেছে চীন। সবশেষ ২০২০ সালে লাদাখে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হন।