বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকিতে!

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:১১

ইউটিউবে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় কুমার বলেন, ‘যারা সাংবাদিক হওয়ার জন্য লেখাপড়ার পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করছেন, তারা দালালের কাজ করতে বাধ্য হবে। আর যারা বর্তমানে কাজ করছেন, তাদের ভুগতে হবে। কেউ কেউ এই পেশায় ক্লান্ত বোধ করছেন। আবার অনেকেই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।’

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির আদানি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে দেশটির শীর্ষ বেসরকারি গণমাধ্যম নিউ দিল্লি টেলিভিশন (এনডিটিভি)। আর এরপরই ‘ব়্যামন ম্যাগসাইসাই’ পুরস্কারজয়ী ভারতীয় সাংবাদিক রবীশ কুমার এনডিটিভি থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে, বুধবার এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ প্রণয় রায় ও তার স্ত্রী রাধিকা রায় পরিচালক বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন।

আদানির লোকজন এখন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, সঞ্জয় পুগলিয়া এবং সন্থিল সিন্নাইয়া চেঙ্গালভারায়ণকে এনডিটিভির পরিচালন বোর্ডে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এনডিটিভির ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক আদানির মিডিয়া নেটওয়ার্ক- এএমএনএল। এতদিন এই শেয়ারের মালিকানা ছিল প্রণয় রায় ও তার স্ত্রী রাধিকা রায়ের।

ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এনডিটিভির আরও ২৬ শতাংশ শেয়ার বাজার থেকে কিনে নেবেন আদানি। এতে চ্যানেলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘ঘনিষ্ঠ’ আদানি।

রবীশ কুমার গত কয়েক দশক ধরে এনডিটিভির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কি রিপোর্ট, প্রাইম টাইম, হাম লোগ, দেশ কি বাতের মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তিনি।

এনডিটিভির সাবেক সাংবাদিক রবীশ কুমার

কুমার তার শো চলাকালীন প্রায়ই হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে অভিযুক্ত করতেন।

ইউটিউবে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় কুমার বলেন, ‘যারা সাংবাদিক হওয়ার জন্য লেখাপড়ার পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করছেন, তারা দালালের কাজ করতে বাধ্য হবে। আর যারা বর্তমানে কাজ করছেন, তাদের ভুগতে হবে। কেউ কেউ এই পেশায় ক্লান্ত বোধ করছেন। আবার অনেকেই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।’

রবীশ কুমারের পদত্যাগের পর টুইটারে লিখেছেন #RIPNDTV।

১২ বছর এনডিটিভির সঙ্গে কাজ করেছেন রিভাতি লৌল। ২০০৯ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। সম্প্রতি রিভাতি বলেন, ‘নির্বাচন বিশ্লেষণ, বাজেট বিশ্লেষণ এনডিটিভির মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল।’

এনডিটিভির মতো আরেকটি সম্প্রচারমাধ্যম আর হবে না জানিয়ে লৌল আরও বলেন, ‘আমরা টেলিভিশন নিউজ রিপোর্টিংয়ের যুগ পেরিয়ে এসেছি। এখন সেখানে কেবল প্রোপাগান্ডা ছড়ায়।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থা-দ্য ফ্রি স্পিচের সহপ্রতিষ্ঠাতা গীতা সেশু বলেন, ‘কুমার এবং রায়দের পদত্যাগগুলো ইঙ্গিত দেয় যে কীভাবে ভারতের স্বাধীন মতামতের জায়গা আরও সঙ্কুচিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক একটি দেশের জন্য একটি উদ্বেগের।’ প্যারসভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তগণমাধ্যম সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৫০।

এ বিভাগের আরো খবর