বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তি আলোচনার শর্ত জানাল রাশিয়া

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:০০

মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সম্ভাব্য সংলাপ শুরু করার জন্য কোনো পূর্বশর্ত আছে কি না, জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, ‘এ জন্য আসলে রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে দাবিগুলো তুলে আসছি, সেগুলো নিয়ে আলোচনার মানসিকতা রাখতে হবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা তখনই শুরু হতে পারে যখন সংলাপের জন্য কিয়েভের প্রকৃত ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ দেখতে পাবে মস্কো। চলতি মাসের শুরুর দিকে পেসকভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাশিয়া নারাজ।

মস্কোয় সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ কথা জানান পেসকভ। মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সম্ভাব্য সংলাপ শুরু করার জন্য কোনো পূর্বশর্ত আছে কি না, জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, ‘এ জন্য আসলে রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে দাবিগুলো তুলে আসছি, সেগুলো নিয়ে আলোচনার মানসিকতা রাখতে হবে।’

নভেম্বরের মাঝামাঝি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জোর গলায় বলেছিলেন, ইউক্রেন এমন কোনো চুক্তি করবে না যেটা কার্যকরের পর রাশিয়া লঙ্ঘন করবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে যথাক্রমে জার্মানি এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় মিনস্ক-১ এবং মিনস্ক-২ চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। চুক্তি শর্তের মধ্যে ছিল, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক অঞ্চলকে বিশেষ মর্যাদার দিতে হবে।

চুক্তি বাস্তবায়নে কিয়েভের ব্যর্থতা উল্লেখ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

জি-২০ সম্মেলনে জেলেনস্কির মন্তব্যের বিষয়ে পেসকভ বলেন, ‘ইউক্রেন যে আলোচনায় রাজি না সে বিষয়ে মস্কো পুরোপুরি নিশ্চিত।’

বালিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্বোধন করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ১০ দাবি তোলেন। তার মতে এগুলো পূরণ হলে, যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে রাশিয়ান বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।

নভেম্বরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন ব্যক্তিগতভাবে চাইছে যে কিয়েভ যেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে। তারপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই বক্তব্য রাখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই কারণে উদ্বিগ্ন ছিল যে ‘অসংলগ্ন’ অবস্থানের কারণে পশ্চিমা সমর্থন হারাতে পারে কিয়েভ। বিষয়টাকে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ক্রমবর্ধমান ‘ইউক্রেন ক্লান্তি’ বলে বর্ণনা করেছেন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কিয়েভকে আলোচনায় আনার বিষয়ে ওয়াশিংটন সিরিয়াস ছিল না। বাইডেন প্রশাসন কেবল ইউক্রেনে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা নিশ্চিতের চেষ্টা মনোযোগী ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর