বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূল উদ্যোগ তহবিল সংকটে: ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২৬

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে জানিয়েছে, বৈশ্বিক পোলিও নির্মূল উদ্যোগ বড় ধরনের তহবিল সংকটে পড়তে যাচ্ছে। ‘দ্য গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিশিয়েটিভ (জিপিইআই)’ নামের একটি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিশুদের বিনামূল্যে পোলিও টিকা প্রদান করা হয়।

ডব্লিউএইচও জানায়, ২০২৬ সালের মধ্যে জিপিইআই-কে ৩০ শতাংশ বাজেট কমাতে হবে, এবং ২০২৯ সালের মধ্যে এই উদ্যোগ ১.৭ বিলিয়ন (১৭০ কোটি) মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতির সম্মুখীন হবে। এই তহবিল সংকট পোলিও নির্মূল কার্যক্রমের জন্য একটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে।

পোলিও নির্মূল উদ্যোগটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফসহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক অংশীদারের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।

ডব্লিউএইচও’র পোলিও নির্মূল কার্যক্রমের পরিচালক জামাল আহমেদ গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তহবিল উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।”

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তহবিল সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ হ্রাস, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সহায়তা কমে যাওয়া। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। পাশাপাশি জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মতো প্রধান দাতা দেশগুলোও তাদের অনুদান কমিয়ে দিয়েছে।

আহমেদ বলেন, “পোলিও নির্মূল কার্যক্রম এখনো চালু রয়েছে এবং এটি চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এ জন্য আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে— একজন শিশুও যেন বাদ না পড়ে।”

সঙ্কট মোকাবিলায় জিপিইআই এখন উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে টিকাদান ও নজরদারিতে অগ্রাধিকার দেবে। পাশাপাশি, অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয়ের কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। খরচ কমাতে নিম্ন-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে, যেখানে নতুন সংক্রমণের ঝুঁকি কম, সেখানে কার্যক্রম সীমিত করার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।

বিশ্ব থেকে পোলিও নির্মূলের লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছে। এর ফলে পোলিও সংক্রমণের হার নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে ভাইরাসটি এখনো সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি; কিছু অঞ্চলে এখনো এর উপস্থিতি রয়েছে।

প্রথমে ২০০০ সালের মধ্যে বিশ্বকে পোলিওমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও তা অর্জন সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলিও ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক সময় লক্ষণবিহীন হয়, ফলে রোগটির বিস্তারের পথ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত পোলিও আক্রান্ত হওয়ার ৩৬টি ঘটনা শনাক্ত হয়েছে—সবগুলো আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে। এই দুটি দেশেই এখনো নিয়মিতভাবে পোলিওর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। জিপিইআই এই অঞ্চলগুলোতে তাদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।

এ বিভাগের আরো খবর