বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবশেষে সেই সিরিয়াল রেপিস্ট শনাক্ত

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:৪২

তদন্তকারী দেখতে পায়, সবগুলো ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ডিএনএ-এর মিল পাওয়া যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয় অপরাধী কিথ সিমস; যিনি গত ফেব্রুয়ারিতে ৬৬ বছর বয়সে মারা গেছেন।  

প্রথম ধর্ষণের প্রায় ৪০ বছর পর এক সিরিয়াল রেপিস্টকে শনাক্ত করতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ। তাদের দাবি, তিন দশকের বেশি সময় ধরে সিডনিতে এ অপরাধগুলো করেছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানায়, সিরিয়াল এই রেপিস্টের নাম কিথ সিমস। ১৯৮৫ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ৩১ জন নারী তার শিকার হয়েছিলেন। কখনও বাড়িতে ঢুকে আবার কখনও প্রাতভ্রমণে তার নিপীড়নের শিকার হন নারীরা।

শুরুর দিকে গোয়েন্দারা ধারণা করেছিলেন, এ ঘটনাগুলোয় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। তবে আধুনিক ডিএনএ প্রযুক্তি এই রহস্যের সমাধান দেয়। তদন্তকারীরা দেখতে পান, সবগুলো ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ডিএনএ-এর মিল পাওয়া যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয় অপরাধী কিথ সিমস; যিনি গত ফেব্রুয়ারিতে ৬৬ বছর বয়সে মারা গেছেন।

কখনও ‘বন্ডি বিস্ট’ আবার কখনও ‘দ্য ট্র্যাকসুট রেপিস্ট’ নামে পরিচিত ছিলেন ওই ধর্ষক। ক্লোভেলির সমুদ্রতীরবর্তী উপশহরে ১৯৮৫ সালে সিমসের প্রথম শিকার হন এক নারী। ২০০১ সালে দিকে একটি কবরস্থানে কাছে তিনি তার শেষ অপরাধটি করেন।

প্রতিটি ঘটনায় সেই সময়ে আলাদা তদন্ত হয়েছিল। তবে ২০০০ সালের দিকে সবগুলো ঘটনায় এক ব্যক্তির যোগসূত্র খুঁজে পেতে শুরু করে পুলিশ।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১২ জনের ডিএনএ একই ছিল; ১৯টি ঘটনায় নিপীড়নের ধরনের মিল ছিল।

সিমসের নিপীড়নের শিকার সবার বয়স ১৪-৫৫ বছরের মধ্যে। তারা সবাই নিপীড়কের একই বর্ণনা দিয়েছেন৷

‘ধর্ষক ১৬০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার লম্বা ছিলেন, শ্যামলা বরণ, বাদামী চোখ এবং লম্বা নাক ছিল।

‘তিনি তার মুখ ঢেকে রাখতেন, সাধারণ মানুষের পোশাক পরতেন যেমন- ট্র্যাকসুট, হুডি বা ফুটবল শর্টস। সে হয় তার শিকারদের ছুরি দেখিয়ে হুমকি দিতেন অথবা তাদের বলতেন তার কাছে ছুরি আছে।’

তদন্তকারীদের ২০১৯ সালে এসব ঘটনায় প্রথম আলোর মুখ দেখেন। সে বছর ডাটাবেসে একটি পারিবারিক ডিএনএ-র মিল খুঁজে পায় পুলিশ; যা সন্দেহভাজনের তালিকাকে ৩২৪ জনের মধ্যে নামিয়ে আনে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সিমসের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের ডিএনএ-এর হুবুহু মিল পায় পুলিশ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে অবশ্য পরিবার এবং বন্ধুরা সিমসকে অনেক চমৎকার বাবা, দাদা এবং সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

যে গোয়েন্দা সিমসের পরিবারের কাছে খবরটি দিয়েছিলেন তিনি বলেছেন, তাদের এ বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না।

গোয়েন্দা সার্জেন্ট শেলি জনস ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমরা তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। সব শুনে তিনি একেবারে হতবাক হয়েছিলেন।

‘তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে মানুষটাকে তিনি চিনতেন, সেই মানুষটা এমন কাজ করতে পারেন।’

তদন্তকারীরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপরাধীকে শনাক্ত করার বিষয়টি জানিয়েছেন। তাদের বলা হয়, মারা যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর