ভারতের দিল্লিতে এক তরুণীকে তার প্রেমিক খুন করে ৩৫ টুকরা করে ফ্রিজে রেখেছিলেন। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে টুকরাগুলো ফেলে আসেন সেই প্রেমিক। গত ১২ নভেম্বর পুলিশ ওই প্রেমিককে গ্রেপ্তার করলে ঘটনা সামনে আসে। ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরে। তবে এবার বাবাকে হত্যা করে তার মরদেহের টুকরা ভিন্ন জায়গায় নিয়ে ফেলেছে তার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, মদ্যপান নিয়ে ঝগড়ার জেরে সাবেক নৌকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে হত্যা করেছেন তার ছেলে জয় চক্রবর্তী। পরে বাবার মরদেহ টুকরা করে পুকরে ফেলেন ও মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। এ কাজে সহায়তা করেন তার মা শ্যামলী চক্রবর্তী।
শ্যামলী চক্রবর্তী ও ছেলে জয়কে গ্রেপ্তারের পর এ ঘটনা জানা যায়।
পুলিশ জানায়, ১৫ নভেম্বর ভোরে নিখোঁজ ডায়েরির তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্যক্তির হত্যার কথা জানতে পারে।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় উজ্জ্বলের মদ খাওয়া নিয়ে ঝামেলা হত। ১৪ নভেম্বর অতিরিক্ত মদ খাচ্ছিলেন তিনি। সে নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উজ্জ্বল পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। ছেলে তখন শ্বাসরোধ করে বাবাকে হত্যা করেন। এরপর বাড়িতে থাকা করাত দিয়ে দেহ টুকরা করেন জয়। পলিথিনে মুড়ে বস্তাবন্দি করে সাইকেলে করে কয়েক টুকরা পুকুরে ফেলেন। আর বাকি টুকরা মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। আর ছেলের এই কাজে সাহায্য করেন মা।
শুক্রবার মল্লিকপুরের মদনমল্য পুকুর থেকে মরদেহের উপরের অংশগুলো উদ্ধার হয়। আর শনিবার ৭০০ মিটার দূরে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় দেহের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করা হয়।