নিজেদের সব কার্যালয় অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কার্যালয় বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি কর্মীদের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশের সুবিধাও বাতিল করা হয়েছে। গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটার কেনার এক সপ্তাহ পর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির সব অফিস বন্ধ করে দেয়া হলো।
টুইটার বলছে, গ্রিনিচ মান সময় বিকেল ৪টা (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) থেকে ইমেইলে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের বিষয়ে জানানো হবে। যারা চাকরি হারাচ্ছেন তাদের ব্যক্তিগতভাবে ইমেইল করবে টুইটার। আর চাকরিতে বহাল থাকা ব্যক্তিদের অফিসিয়াল ইমেইলে বিষয়টি জানানো হবে।
মাস্কের দাবি, টুইটার কিনতে তাকে বেশি টাকা খরচ করতে হয়েছে। সেই খরচ তোলার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কেবল কর্মী ছাঁটাই নয়, টুইটারের ‘ব্লু-টিক’ বা ভেরিফিকেশনের জন্য মাসিক ফি নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি জানান, এখন থেকে ব্লু-টিকের জন্য মাসে ৮ ডলার করে দিতে হবে টুইটার ব্যবহারকারীদের।
টুইটারের খরচ কমানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবকাঠামোগত খরচ সাশ্রয়ের উপায় খুঁজতে ইতোমধ্যে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মাস্ক।
মাস্ক টুইটার কেনার পরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল, আইন ও নীতিমালাবিষয়কপ্রধান বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেন।
এদিকে পর্যাপ্ত নোটিশ না দিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে টুইটারের কিছু কর্মী। তারা বলছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার আইন না মেনে টুইটার গণছাঁটাই করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। সান ফ্রান্সিস্কোর ফেডারেল আদালতে বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার শ্রম আইন অনুযায়ী, গণছাঁটাইয়ের ৬০ দিন আগে কর্মীদের নোটিশ দিতে হয়।
এ নিয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এক সাক্ষাৎকারে বাদিপক্ষের আইনজীবী শ্যান লিস-রিয়োরদান বলেন, ‘কর্মীরা বুঝতে পারে যে তাদের অধিকার বিলিয়ে দেয়া উচিত হবে না... এ জন্যই মামলাটি করা হয়েছে ।’
১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিতের পর গত জুনে ইলন মাস্কের আরেক প্রতিষ্ঠান টেসলার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন আইনজীবী শ্যান লিস-রিয়োরদান।
তবে মামলাটি টেসলার পক্ষে যায়। বিষয়টি রুদ্ধদ্বার সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার পরামর্শ দেয় অস্টিনের একটি আদালত।