বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিম্পাঞ্জির জন্মদিনে আলিপুর চিড়িয়াখানায় তারকারা

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:৪১

আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আশীষ সামন্ত বলেন, ‘এই প্রথম আলিপুর চিড়িয়াখানায় কোনো পশুর জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করা হলো। দর্শনার্থীদের থেকে যেভাবে সাড়া পাওয়া গেছে, অন্য পশুদের জন্য এরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় ধুমধাম করে পালন করা হলো শিম্পাঞ্জি বাবুর ৩৪তম জন্মদিন।

বুধবার সকালে বাবুর পালক বাবা মা অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত ও সপ্তর্ষি মৌলিক নানারকম ফল, কেক নিয়ে হাজির হন আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ফল ও কেক কেটে বাবুর জন্মদিন পালন করা হয়।

বাবুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অন্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মীর আসরাফ আলি, স্বস্তিকা মুখার্জি। আর ছিলেন অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

৩৪ বছরের বাবুকে ১৯৯৮ সালে চেন্নাইয়ের আরিগনার অন্না জুওলজিক্যাল পার্ক থেকে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হয়। আলিপুর চিড়িয়াখানায় পা দিয়ে বাবু দর্শনার্থীদের মন জিতে নেয়।

নিজের জন্মদিনে ফলমূল দেখে উচ্ছ্বসিত বাবুও

বছর দুয়েক আগে বাবুকে দত্তক নেন অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত। তিনিই শিম্পাঞ্জিটির নাম রাখেন বাবু। তারপর থেকেই সেই শিম্পাঞ্জি বাবু নামে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি বিগত কয়েক বছরে বাবুকে দেখতে পাঁচ কোটি দর্শনার্থী এসেছেন।

এদিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে অনেককে শিম্পাঞ্জির মুখোশ পরে আসতে দেখা যায়। হ্যাপি বার্থডে বাবু বলে সবাই উল্লাসে ফেটে পড়েন। কেক নানা রকম ফল, বাবুর প্রিয় আপেল, কলা, তরমুজ, খেজুর, পাকা পেঁপে, শসা, পেয়ারা ইত্যাদি সাজিয়ে দেয়া হয়। এসব দেখে বাবুকেও বেশ আনন্দে লাফালাফি করতে দেখা যায়।

আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আশীষ সামন্ত বলেন, ‘এই প্রথম আলিপুর চিড়িয়াখানায় কোনো পশুর জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করা হলো। দর্শনার্থীদের থেকে যেভাবে সাড়া পাওয়া গেছে, অন্য পশুদের জন্য এরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রাণীদের রক্ষা করা নিয়ে মানুষের অনেক বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। দুবছর আগে আমরা এই শিম্পাঞ্জিকে দত্তক নিয়েছিলাম। এদের গড় আয়ু ৫০ বছর হয়। এখন ৩৪ বছর। দেখভাল করার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে আসতাম। তখন থেকেই বাবুর সঙ্গে আমার সখ্যতা। বাবুর জন্মদিন সেলিব্রেশন ঘিরে আমি খুব উচ্ছ্বসিত। ধন্যবাদ জানাই আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। আপনারাও জীবজন্তুর দত্তক নিতে পারেন। প্রকৃতিকে ভালোবাসুন। জীবজন্তুকে ভালোবাসুন। তবেই আমরা সকলে ভালো থাকতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর