আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, সমর্থকদের নিয়ে শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু করবেন।
লাহোরে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, ‘শুক্রবার লাহোরের লিবার্টি স্কোয়ার থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত লং মার্চের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সকাল ১১ টায় এটা শুরু হবে।’
লাহোর থেকে ইসলামাবাদের দূরত্ব প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার (২৩৬ মাইল)।
“I’m announcing that the long march will start on Friday from Liberty Chowk”-@ImranKhanPTI pic.twitter.com/LdxTcxPs6G
— PTI (@PTIofficial) October 25, 2022ইমরান আরও বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচন ঘোষণার জন্য সরকারকে চাপ দিতে মার্চ করব। তবে আমার সমর্থক এবং দলের সদস্যদের সহিংসতা এড়াতে হবে। দেশের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় লং মার্চ।’
পাকিস্তান সরকার ইতোমধ্যে লং মার্চ প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে। শাহবাজ প্রশাসন জানিয়েছে, ইসলামাবাদে ঢুকতে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়া হবে। রাজধানীর নিরাপত্তায় অন্তত ৩০ হাজার আইন প্রয়োগকারী সদস্য মোতায়েন থাকতে পারে।
- আরও পড়ুন : পাকিস্তানে উপনির্বাচনে ইমরানের রেকর্ড জয়
প্রশাসন বলছে, রাজধানীর সব প্রবেশপথে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ব্যারিকেডের জন্য কয়েকশ কন্টেইনার এরইমধ্যে ইসলামাবাদে পাঠানো হয়েছে।
আইনসভায় অনাস্থা ভোটে এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। সেই থেকে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ করে আসছেন ইমরান। তবে সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরের আগে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না।
- আরও পড়ুন : ইমরান আউট, শাহবাজ ইন
বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ পাওয়া উপহার বেআইনিভাবে বিক্রির দায়ে গত শুক্রবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এতে আগামী নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারছেন না। রায়ে একই সঙ্গে জানানো হয়, ভুল তথ্য দেয়ার জন্য ইমরানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।
ওই রায়ের প্রতিবাদে ইমরানের সমর্থকরা ছোট-খাট বিক্ষোভ করেন। এই রায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় জর্জরিত পাকিস্তানকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।
৭০ বছর বয়সী সাবেক তারকা ক্রিকেটার ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, এ সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় দখলে থাকা উপহার কেনা-বেচা করেছেন ইমরান। বলা হচ্ছে, লেনদেন করা এসব উপহারের মূল্য ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলারের বেশি।
- আরও পড়ুন : ভোটের মাঠে জনপ্রিয় ইমরানের ভবিষ্যৎ কী
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন যে রায় দিয়েছে তাতে ইমরানকে তার পার্লামেন্ট আসন থেকে অপসারণ করা হবে। তবে পাবলিক অফিস থেকে তার অযোগ্যতার মেয়াদ জানানো হয়নি। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী এটা পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে।