যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
কনজারভেটিভ টোরি দলের ১০০ এমপির মধ্যে এরই মধ্যে তিনি ৯৩ জনের সমর্থন পেয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দায়িত্ব নেয়ার ৪৫ দিনের মাথায় নাটকীয়ভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
২০ অক্টোবর তার এই ঘোষণার পর এখন তার উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবারের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।
হাউস অব কমন্সে টোরি দলের এমপি মোট ৩৫৭। পার্লামেন্টের অন্তত ১০০ সদস্যের সমর্থন আছে এমন প্রার্থীরাই এ জন্য এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন।
জানা গেছে, তিন প্রার্থীর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পেয়েছেন ৪৪ এমপির সমর্থন। আর পেনি মরডান্ড ২১ জনের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সে হিসেবে নেতা নির্বাচিত হওয়ার পথে আছেন সুনাক।
কোনো কোনো সূত্র অবশ্য বলছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ১০০ এমপির সমর্থনই পেয়ে গেছেন। এখন শুধু বাকি আনুষ্ঠানিকতার।
সুনাক একবারই রিচমন্ডের নর্থ ইয়র্কশায়ার নির্বাচনি এলাকা থেকে ২০১৫ সালে এমপি হয়েছিলেন। ওয়েস্টমিনস্টারের বাইরে খুব কম মানুষই তাকে সমর্থন করে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজকোষের চ্যান্সেলর হয়েছিলেন তিনি।
লকডাউন চলাকালীন অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল সুনাককে। স্ত্রীর কর বিষয়ক বিতর্কের কারণে খ্যাতি ক্ষুণ্ন হয় তার। এর কিছুদিন পর লকডাউন নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা গুনতে হয়েছিল তাকে।
করোনায় লকডাউনের মধ্যে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন থেকে ননাা বিতর্কে গত সেপ্টেম্বরে বরিস জনসনের পদত্যাগের পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ট্রাস।
তখনও জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচনের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সুনাক। পদে আসতে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে শেষ পর্যন্ত লড়াই হয় ট্রাস ও সুনাকের মধ্যে। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী ও নেতা নির্বাচিত হন ট্রাস।
৪৭ বছর বয়সী ট্রাস পার্লামেন্টে আসেন ২০১০ সালে। চার বছর এমপি পদে থাকার পর মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেন ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণবিষয়ক সচিব হিসেবে।
পরে টেরিজা মে সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ট্রাস। ২০২১ সালে হন পররাষ্ট্র সচিব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে ২০১৬ সালের জুনে হওয়া গণভোটে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন।