ক্রমেই চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার পর এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ১০ কোটি করোনার টিকা ধ্বংস করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট।
ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতে উৎপাদিত হয় কোভিশিল্ড নামে। সেরাম উৎপাদিত এ টিকা স্থানীয়ভাবে জনগণের ওপর ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানিও হয়েছে অনেক দেশেই।
আদর পুনাওয়ালা জানান, চহিদা কমে যাওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বরে এই টিকা উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়। স্বল্পমাত্রায় উৎপাদন আছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, এরই মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে জনগণকে। মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগের মানুষ নিয়েছেন অন্তত দুটি ডোজ। তবে বুস্টার ডোজ নিয়ে ততটা সাড়া মেলেনি।
সেরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘করোনা নিয়ে বিরক্ত হওয়ার কারণে জনগণ বুস্টার ডোজ নিয়ে আগ্রহী না। সত্যি বলতে আমিও বিরক্ত। আসলে আমরা সবাই করোনা নিয়ে বিরক্ত।’
তিনি জানান, সেরামের কাছে এখন ১০ কোটি টিকা আছে। এগুলোর মেয়াদ থাকে ৯ মাস। সে হিসেবে এসব টিকার মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে গেছে।
আদর পুনাওয়ালা বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নেয়ার সময় প্রত্যকে করোনার টিকার একটি ডোজ নিতে পারে। কিন্তু এ দেশে সেই টিকা নেয়ার সংস্কৃতিই নেই।