বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেহরানে কারাগারের আগুনে ৪ বন্দির মৃত্যু

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:৫৫

আইআরএনএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পারায় মৃত্যুগুলো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দিদের মধ্যে লড়াইয়ের পর রাতভর আগুন লেগে কমপক্ষে চারজন বন্দি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬১ জন। ইরানের বিচার বিভাগের বরাতে সরকারি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এই খবর নিশ্চিত করেছে।

আইআরএনএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পারায় মৃত্যুগুলো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এই কারাগারটিতে বেশিরভাগ রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন। আছেন দ্বৈত নাগরিকত্বের ইরানিরাও। কারাগারটি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা সমালোচিত হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ জন্য এটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে।

পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। এর মধ্যেই আলোচিত এই কারাগারটিতে হতাহতের ঘটনা ঘটল।

এই বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইরান সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গোটা ইরানেই ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। অনেকে আবার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।

তেহরানের প্রসিকিউটর আলী সালেহি বলেন, ‘কারাগারের অস্থিরতা দেশব্যাপী বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়েছে।’

আগুনে কারাগারের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

তেহরান সময় রাত ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। পরে কারাগারের বিভিন্ন ইউনিটে তা ছড়িয়ে পরে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে, কয়েকজন কারাগারের সেলাই ওয়ার্কশপে গুদামে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Protests reported near #Evin Prison in Tehran after the prison became enflamed with sounds of gunshots and explosions. #Mahsa_Amini Context: https://t.co/kxNFKdyq79#مهسا_امینی#زندان_اوین pic.twitter.com/9XburD0Tf8

— IranHumanRights.org (@ICHRI) October 15, 2022

তবে কিছু প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, পেট্রোল বোমা কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এর ঠিক পরে, নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা টিয়ার গ্যাসও ব্যবহার করে।

রয়টার্সের কাছে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এভিন কারাগারের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখানে অনেক অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে।’

অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘কারাগারের প্রধান প্রবেশপথের সামনে বন্দিদের পরিবার জড়ো হয়েছিল।

‘আমি আগুন এবং ধোঁয়া দেখতে পেয়েছি। বিশেষ বাহিনীর অনেক সদস্যও মোতায়েন ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর