ন্যাটো সেনা ও রুশ সেনাদের সরাসরি সংঘাত একটি মূর্খতাপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বৈশ্বিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কাজাখস্তানের আস্তানায় মধ্যএশিয়া-রাশিয়া সম্মেলন চলাকালীন শুক্রবার তিনি এমনটা বলেন।
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে ইউক্রেন পরাজয়ের কাছাকাছি চলে গেলে ন্যাটো ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, বিপজ্জনক পদক্ষেপ, যা বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যারা এই বিষয়ে (ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা পাঠানো নিয়ে) কথা বলছেন, তাদের যথেষ্ট বুদ্ধি থাকবে, যাতে এই ধরনের বিপজ্জনক পদক্ষেপ না ঘটতে পারে।’
পুতিন একই সঙ্গে বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে ‘পরাজয়’ শব্দের অর্থ কী তা বোঝা দরকার। তবে পুতিন আপাতত ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হলে পশ্চিমারা এখন পর্যন্ত কয়েক বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র কিয়েভকে সরবরাহ করেছে। বিশেষ করে আমেরিকা বলছে, রাশিয়াকে পরাজিত করতে যতদিন লাগে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে দেশটি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
তবে অস্ত্র সহায়তা দিলেও সেনা পাঠাতে চায় না ন্যাটো। পশ্চিমা জোটটির মহাসচিব জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটো ইউক্রেন সংঘাতের কোনো পক্ষ নয়। তবে গত সপ্তাহেই তিনি স্বীকার করে নেন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিজয়, ন্যাটোর পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এমন পরিস্থিতিতে না পরতে কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে যাবে পশ্চিমা সামরিক জোটটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, স্টলটেনবার্গের মন্তব্য যুদ্ধে ন্যাটোর অংশগ্রহণের প্রকাশ্য নিশ্চিতকরণ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে আবারও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চেয়েছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমাদের অনুরোধ করেছেন।
মস্কো বরাবরই কিয়েভকে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছে, এটি কেবল যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবে এবং রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।