ইউক্রেনে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে শুধু রাজধানী কিয়েভেই ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে মলদোভা।
মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পপেসকু এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া ৩টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মলদোভার আকাশসীমার ভেতর দিয়ে গিয়ে ইউক্রেনে আঘাত হানে। এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে রাশিয়ার দূতকে তলব করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করতে না করতেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে রাশিয়ার হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হামলা চালাতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার সেনারা।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভে জ্বলছে গাড়ি
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্রিশ্চেঙ্কো জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এক টেলিগ্রাম পোস্টে রুশদের সন্ত্রাসী হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
কিয়েভ কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। হামলায় ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ছয়টি গাড়িতে আগুন লেগেছে এবং ১৫টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩০ জন জরুরি বিভাগের কর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত খারকিভ অংশেও আঘাত করেছে। শহরের মেয়র ইহর তেরেকভ বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এরই মধ্যে শহরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
লেভিভ শহরের কয়েকটি এলাকায়ও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।