বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আংশিক খুলেছে ক্রিমিয়া সেতু, ৩ প্রাণহানি

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:২৪

দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়ে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় খুলে দেয়া হয়েছে সেতুটি। এতে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।

রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযোগকারী একমাত্র সেতু ক্রিমিয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে রুশ সরকারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি

দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়ে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় খুলে দেয়া হয়েছে সেতুর একটি অংশ। এতে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।

তারা জানান, বিস্ফোরণে যে লরিতে আগুন লেগে যায়, তার পাশে একটি গাড়িতে থাকা অবস্থায় ওই তিনজন নিহত হন।

দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা এক ভিডিওতে সেতুটিতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।

ক্রিমিয়া সেতু বা কের্চ স্ট্রেইট সেতু নামে পরিচিত ইউরোপের দীর্ঘতম এ সেতুতে একটি সড়কপথ ও একটি রেলপথ রয়েছে। সড়কপথের অংশে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে তা পরে ছড়িয়ে পড়ে। ছুটে যান উদ্ধারকারীরা। বন্ধ করে দেয়া হয় যান চলাচল।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এই সেতু উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সেতু সুরক্ষায় রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ার কের্চ শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে এ বিস্ফোরণে কারা দায়ী তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুর তামান পেনিসুয়ালা অংশে একটি ট্রাকে বিস্ফোরণ হলে ক্রিমিয়ার দিকে যাওয়া একটি রেলওয়ে ট্রেনের সাতটি জ্বালানি ট্যাংকে আগুন ধরে যায়।

আলোচিত ক্রিমিয়া অঞ্চলটি একসময় ইউক্রেনের অংশ ছিল। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ অঞ্চল দখলে নেয় রাশিয়া। তখন থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই সেতুকে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো দায় স্বীকার না করলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সহকারী মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, শনিবার ভোরে যে বিস্ফোরণটি ক্রিমিয়া সেতু কাঁপিয়ে দিয়েছিল তা কেবল শুরু।

এক টুইট বার্তায় পোডোলিয়াক লেখেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু, শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সব কিছু থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।’

এর আগে গত আগস্টেও পোডোলিয়াক বলেছিলেন, ইউরোপের বৃহত্তম সেতুটি ধ্বংস করে দেয়া উচিত, কারণ এটি একটি অবৈধ নির্মাণ এবং ক্রিমিয়ায় রুশ সেনাবাহিনীর সরবরাহের প্রধান প্রবেশদ্বার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বরাবরই ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের কথা বলে আসছেন।

এ বিভাগের আরো খবর