বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুকে পোস্ট দিলেই শাস্তি শ্রীলঙ্কার সরকারি কর্মীদের

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:০৮

শ্রীলঙ্কায় সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখের মতো। এতদিন তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ ছিল, এবার সেই নিষেধাজ্ঞা পৌঁছাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশের ক্ষেত্রেও।

নানা সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার সরকারি কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মত প্রকাশ করে পোস্ট করলেই শাস্তি পেতে হবে তাদের।

দেশটির জনপ্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এই নির্দেশনা দেয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস

শ্রীলঙ্কায় সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখের মতো। এতদিন তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ ছিল, এবার সেই নিষেধাজ্ঞা পৌঁছাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশের ক্ষেত্রেও।

সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী খাবারের অভাবে স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে একটি প্রাদেশিক স্কুলের শিক্ষক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অভিযোগের পর সরকারি কর্মীদের ওপর নতুন নিয়ম প্রয়োগ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকাররি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতামত প্রকাশ করা অপরাধ। এটি করলে কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরাজের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র।

দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত জনজীবন। মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

লঙ্কান সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত পর্যটনশিল্প ধসে পড়েছে, রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারে। লোডশেডিং; খাবার, ওষুধ ও জ্বালানিসংকটে ক্ষোভ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত কয়েক বছর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে।

এ প্রেক্ষাপটে সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভরতদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের।

একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসে ও তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এসেছে নতুন নেতৃত্ব। ঋণের জন্য চুক্তি হয়েছে আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের সঙ্গে। তবু অস্থিরতা চলছেই। কাটছে না দেশটির সংকট।

এ বিভাগের আরো খবর