বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী পদে এগিয়ে উগ্র ডানপন্থি মেলোনি

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:০৮

প্রেসিডেন্ট সার্জিও ম্যাটারেলা সকালে সিসিলিয়ান রাজধানী পালেরমোয় নিজের ভোট দেন। মেলোনি ও বাম নেতা এনরিকো লেটা ভোট দিয়েছেন রোমে। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্তেও সালভিনি মিলানে ভোট দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে পারেন উগ্র ডানপন্থি মেলোনি ও সালভিনি জোট।

প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন ইতালির জনগণ। পূর্বাভাস বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইতালির ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে উগ্র ডানপন্থি সরকার।

স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন দেশটির ৫ কোটি ১০ লাখ ভোটার, যাদের ২৬ লাখ এবারই প্রথম ভোট দেবেন। এ ছাড়া দেশের বাইরে আছেন ৪৭ লাখ ভোটার।

জর্জিয়া মেলোনি ইতালির উগ্র ডানপন্থি ব্রাদার্স পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য দুটি ডানপন্থি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে তিনি।

প্রেসিডেন্ট সার্জিও ম্যাটারেলা সকালে সিসিলিয়ান রাজধানী পালেরমোয় নিজের ভোট দেন। মেলোনি ও বাম নেতা এনরিকো লেটা ভোট দিয়েছেন রোমে। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্তেও সালভিনি মিলানে ভোট দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে পারেন উগ্র ডানপন্থি মেলোনি ও সালভিনি জোট।

চেম্বার এবং সিনেটের জন্য ভোট দিতে স্থানীয় সময় রাত ১১টা পর্যন্ত সময় পাবেন ভোটাররা

জর্জিয়া মেলোনি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেন। তিনি চাইছেন নিজের ফ্যাসিবাদের তকমা দূর করতে। যদিও নির্বাচনি প্রচারে ফ্যাসিস্ট স্লোগান দিতে দেখা গেছে ৪৫ বছরের মেলোনিকে। এ ছাড়া অভিবাসন বন্ধে লিবিয়ায় নৌ অবরোধের পক্ষে তার অবস্থান।

এক মাস আগেও, ইতালির বাম এবং মধ্যপন্থি দলগুলো উগ্র ডানপন্থি মেলোনি জোটকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ছিল। তবে শেষপর্যন্ত তারা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। বলা হচ্ছে, এতেই কপাল খুলেছে মেলোনি জোটের। জনমত জরিপে মেলোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এখন মধ্য-বাম ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এনরিকো লেটা।

সিলভিও বারলুসকোনি (মাঝে) এবং মাত্তেও সালভিনির (বাঁয়ে) সঙ্গে জোট বাঁধতে পারেন জর্জিয়া মেলোনি (ডানে)

দুই কক্ষের পার্লামেন্ট ইতালির; চেম্বার এবং সিনেট। নতুন নিয়মে দুই কক্ষের আকার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। চেম্বারের এখন ৪০০ আসন এবং সিনেট ২০০টি। এতে জোট সরকারের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেড়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো জোট ৪০ শতাংশ ভোট পেলে পার্লামেন্টের ৬০ শতাংশ আসন তাদের পক্ষে যাবে।

জোট বেঁধে ক্ষমতায় এলেও প্রধানমন্ত্রী পদে মেলোনির আসা অনিশ্চিত। কারণ এ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট মাতারেলা, যিনি ইতালির সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

মেলোনি এবং তার সহযোগীরা এ ধারায় পরিবর্তন চান। তারা পার্লামেন্টে নির্বাচিত নিরপেক্ষ ব্যক্তির চেয়ে সরাসরি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চাইছে।

এ বিভাগের আরো খবর