হিজাব ইস্যুতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় টানা ৭দিন ধরে উত্তাল ইরান। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়ায়, পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষোভে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে আছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।
এমন পরিস্থিতে ইরানের সেনাবাহিনীর (আরতেশ) সহায়তা চেয়েছেন ইরানের সাবেক তারকা ফুটবলার আলি কারিমি। রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধে আরতেশকে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এশিয়ার ম্যারাডোনাখ্যাত এই ফুটবলার।
বিক্ষোভের মতো সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ইরানে সাধাণরত সেনাবাহিনীকে ডাকা হয় না। এ কাজটি করে থাকে রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি)। তাদের সহায়তা করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এর আগে অনেক ইরানি নাগরিক চলমান সংকট মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিল। একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বুধবার দাবি করেছে, কুর্দি শহর সাক্কেজে সেনাবাহিনী এবং আইআরজিসির মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে।
ارتش ایران💚🤍❤️یه وطن منتظر شماست نزارید خون بیگناه ریخته بشه#مهسا_امینی pic.twitter.com/qHQWanBzAT
— ali karimi (@alikarimi_ak8) September 22, 2022কারিমি ২০১৩ সালে অবসর নেন। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল নির্মাণে সহায়তা এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করাসহ অনেক দাতব্য কাজের জন্য সুপরিচিত তিনি৷
২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে কারিমিসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ইরানের বিরোধীনেতা হোসেন মুসাভির পক্ষে সমর্থন দেখাতে হাতে সবুজ রিস্টব্যান্ড পরেছিলেন। হোসেন মুসাভি ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন।
২০১৩ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান আলি কারিমি
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে বা সরকারি সহিংসতার শিকার হয়েছেন যারা, তাদের প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে কামিরিকে প্রায়ই দেখা যায়।
রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট ফারস নিউজ এজেন্সি কারিমির এমন অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা কারিমিকে বিরোধীদের দলের নতুন নেতা বলে অভিহিত করেছে।