বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:১৫

ভিকটিম সুরক্ষা আইনে করা এই মামলায় বাদীপক্ষের দাবি, তারা ইরানে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা প্রেসিডেন্ট রাইসির নির্দেশনায় এবং তিনি এসব ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন। এ সপ্তাহতেই রাইসি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিউ ইয়র্কে থাকবেন। এমন সময় এ ধরনের মামলা তার জন্য বিব্রতকর।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের পরিস্থিতি যখন ঘোলাটে, ঠিক এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলা করেছেন ইরান সরকারের নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিরা, যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে আছেন।

ভিকটিম সুরক্ষা আইনে করা এই মামলায় বাদীপক্ষের দাবি, তারা ইরানে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা প্রেসিডেন্ট রাইসির নির্দেশনায় এবং তিনি এসব ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন।

ইরানের ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর ডেমোক্রেসি সমর্থিত এই মামলাটি দায়ের করেছেন নিউ ইয়র্কের মানবাধিকার আইনজীবী শাহিন মিলানি।

এ সপ্তাহতেই রাইসি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিউ ইয়র্কে থাকবেন। এমন সময় এ ধরনের মামলা তার জন্য বিব্রতকর।

এদিকে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে ইরানের পুলিশ বলছে, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন মাহসা। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

তবে মাহসার স্বজনরা এমনটা মানতে নারাজ। তারা বলছেন, আগে কোনো ধরনের অসুস্থতা ছিল না তার।

এদিকে অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, মাহসা পুলিশি নির্যাতনের ফলে মারা গিয়েছে।

‘সঠিক নিয়মে’ হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে এই বিক্ষোভে নারীদের পাশাপাশি ইরানি পুরুষও যোগ দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজধানী তেহরানে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন।

কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি।

এদিকে ইরান পরিস্থিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যারা হিজাব করতে চায় না তাদের টার্গেট, হয়রানি এবং আটক বন্ধ করতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব চাপিয়ে দেয়ার মতো বৈষম্যমূলক আইন ও প্রবিধান থেকে বের হয়ে আসতে হবে ইরানকে।’

এ বিভাগের আরো খবর