আধুনিক ইউক্রেনের সীমানাকে ‘অপ্রাকৃতিক’ বলে মন্তব্য করেছেন রোমানিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই মার্গা। তিনি বলেছেন, কিয়েভের উচিত তার ভূখণ্ডের কিছু অংশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে দিয়ে দেয়া। কারণ এই জমিগুলো পাওয়ার বৈধ অধিকার তাদের আছে।
সাবেক রুশ কূটনীতিক শনিবার আলবা ট্রান্সিলভেনিয়া বইমেলায় তার নতুন বই ‘দ্য ফেট অফ ডেমোক্রেসি’র মোড়ক উন্মোচনের সময় এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন ঘিরে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে নিতে হবে কিয়েভকে।
‘নেতৃস্থানীয় শক্তির এক হওয়া উচিত। বিশ্বব্যাপী একটি নতুন নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ চুক্তি না হলে ইউরোপে শান্তি থাকবে না। আর শান্তি না থাকলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মার্গা সেই অঞ্চলগুলোকে ইঙ্গিত করেছেন যেগুলো তৎকালীন সোভিয়েত ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আছি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ইউক্রেনের সীমান্ত ঠিক করা উচিত। তাদের উচিত, ট্রান্সকারপাথিয়াকে হাঙ্গেরির কাছে, গ্যালিসিয়াকে পোল্যান্ডের কাছে, বুকোভিনাকে রোমানিয়ার কাছে, দনবাস ও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়া। এগুলো অন্য দেশের ভূখণ্ড।’
মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নে কিয়েভের ব্যর্থতার উল্লেখ করে রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা পাঠায়। জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ২০১৪ সালে হওয়া এই চুক্তির আওতায় পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে বিশেষ মর্যাদার কথা।
চলতি সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের দনবাস প্রজাতন্ত্রগুলোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। সেনা প্রত্যাহারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্ত, ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে একটি নিরপেক্ষ দেশ ঘোষণা করবে; তারা কখনই কোনো পশ্চিমা সামরিক ব্লকে যোগ দেবে না।
এসব মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। ন্যাটোতে যোগ দিতে মরিয়া তিনি।