চাহিদার তুলনায় যোগান কম, তাই পশ্চিমবঙ্গে বেড়েই চলেছে চালের দাম। গত দু’মাসে বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এ অবস্থায় চিন্তিত নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যম আয়ের মানুষেরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে বেশি যোগান আছে মিনিকেটের। মিনিকেট চাল প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, ৪৮ টাকা ও ৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে থাকা রত্না চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাঁশকাঠি চাল মিলছে ৫৭ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
সবচেয়ে মোটা স্বর্ণা চাল গত মাসে ২৪ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ২৮ টাকা কেজি। এছাড়া আইআর ৩৬ নামে মিলের চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজিতে।
কলকাতা কসবা বাজারের চাল ব্যবসায়ী বাঁশরী মন্ডল বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময়ে চালের দাম একটু বেশি থাকে। বর্ষার জন্য চাল সরবরাহ কমে যায়। এবছর যোগান একেবারে কম, পরিবহন খরচ বাড়ছে, তাই চালের দাম বেড়ে গেছে।’
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ধান উৎপাদন কম হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার চাল রপ্তানিতে লাগাম টানতে চাইছে। এজন্য ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে সিদ্ধ চালে।
ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, পশ্চিমবঙ্গে মূলত সিদ্ধ চালের চাহিদা বেশি। আর এ চালে শুল্ক ছাড় দেয়ায় বেড়ে গেছে রপ্তানি। সে কারণে স্থানীয় বাজারে কমে গেছে যোগান। এ পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাসে চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে।
উৎপাদন ঘাটতির পাশাপাশি চালের দামে প্রভাব ফেলেছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের মতো চালের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে এসব ঘটনা।
ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশেও ধানের উৎপাদনে ঘাটতি আছে। সেখানে সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ সিদ্ধ চাল যাচ্ছে বাংলাদেশে। অধিক লাভের আশায় স্থানীয় বাজারে যোগান না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা রপ্তানি করছেন বেশি।