থাইল্যান্ডে রানির মতো পোশাক পরে বিক্ষোভে যাওয়ায় এক নারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫ বছর বয়সী জাতুপর্ণ সায়েউয়েং রানিকে অবমাননার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজ তিনি করেননি।
২০২০ সালে ব্যাংককে রাজনৈতিক বিক্ষোভে গোলাপী পোশাক পরেছিলেন জাতুপর্ণ। ওই ঘটনার মামলায় তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয় সোমবার।
বাবার মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের রাজা হন মাহা ভাজিরালংকর্ণ। পরে ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তার অভিষেক হয়। সে বছরই রানি সুথিদাকে বিয়ে করেন তিনি।
রাজার চতুর্থ স্ত্রী সুথিদা একসময় বিমানবালা এবং রাজার দেহরক্ষী ইউনিটের উপপ্রধান ছিলেন। ২০১৯ সালের বিয়ের আগে বহু বছর ধরে তাকে রাজার সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গেছে।
থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ ও রানি সুথিদা। সংগৃহীত
রাজা মাহার ক্ষমতায় বসার পর থেকে দেশটিতে রাজতন্ত্রকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে প্রায়ই। এ অবস্থায় কঠোরভাবে আইন করেই রাজা-রানিসহ রাজপরিবারের সদস্যদের সমালোচনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, ২০২০ সাল থেকে থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য অন্তত ২১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালে রাজাবিরোধী বিক্ষোভে রানির মতো এক ধরনের গোলাপি পোশাক পরে গিয়েছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত জাতুপর্ণ। ওই বিক্ষোভে তাকে লাল কার্পেটে হাঁটতে দেখা যায়, সে সময় তার মাথায় ছাতা ধরে রেখেছিলেন দুজন।
বিক্ষোভকারী যে পোশাকে আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন, প্রায় একই পোশাকে থাই রানিকে নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
কারাদণ্ডের রায়ের আগে এএফপিকে জাতুপর্ণ বলেছিলেন, কাউকে বিদ্রুপ করার জন্য আমি ওই পোশাক পরিনি। থাইল্যান্ডের ঐতিহ্য অনুযায়ী নিজের জন্যই পোশাকটি পরেছিলাম।