ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়ে জার্মানি চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। বার্লিনে মস্কোর রাষ্ট্রদূত সের্গেই নেচায়েভ সোমবার এ কথা জানান। তিনি বলেছেন, কিয়েভে অস্ত্র মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সমঝোতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে বার্লিন।
রুশ দূত বলেন, ‘ইউক্রেন সরকারকে জার্মানীতে তৈরি প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব অস্ত্র কেবল রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেই নয়, ডনবাসের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধেও ব্যবহার হচ্ছে। এটা নিশ্চিতভাবে সীমা লঙ্ঘন।’
নাৎসি অপরাধের জন্য আমাদের জনগণের সামনে জার্মানির নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছেন রুশ দূত।
তিনি বলেন, ‘তারা এমন একটা সীমা অতিক্রম করেছে, যেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব না।’
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে যোগদানে ‘সশস্ত্র সংঘাতের অঞ্চলে’ অস্ত্র না পাঠানোর দীর্ঘদিনের নীতি বাতিল করেছে বার্লিন। জার্মান সরকার বলছে, কিয়েভকে সমর্থন করার নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে তাদের, যেন তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মতো রুশ অর্থনীতিতে ধস নামানোর প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে জার্মানিও। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগে থেকেই জার্মান ব্যবসাগুলো রাশিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভর করছে।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জার্মান সরকার একতরফাভাবে (রাশিয়ার সঙ্গে) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ধ্বংস করার কাজ করছে। এই সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কয়েক দশক ধরে তা তৈরি হয়েছিল।’
এই কূটনীতিকের ভাষ্য, রাশিয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেই ধুঁকছে জার্মানি। গ্যাস, বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে।
নেচায়েভ বলেন, ‘মস্কোর বিরুদ্ধে “নিষেধাজ্ঞার যুদ্ধ” এখন জার্মানিতে “নিজেকে পায়ে গুলি করা” হিসেবে দেখা হচ্ছে।
‘রাশিয়া এই ক্ষয়ক্ষতি দেখে একদম খুশি না।’