যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত লিজ ট্রাস দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। আগের দুইজনও ছিলেন কনজারভেটিভ দলের।
প্রথম নারী হিসেবে মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের সরকার পরিচালনা করেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব সামলান টেরিজা মে।
রক্ষণশীল হলেও ট্রাসের বেড়ে ওঠা অক্সফোর্ডের একটি বামপন্থি পরিবারে। ছিলেন মধ্যপন্থি লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কিশোরী সদস্য। মাত্র ১৯ বছর বয়সে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন অক্সফোর্ডের মার্টন কলেজে। দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষে ১৯৯৬ সালে স্নাতক হন। দুই সন্তানের জননী ট্রাস বিয়ে করেন ২০০০ সালে।
চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনটেন্ট (এসিএমএ) হিসেবে ১৯৯৯ সালে কর্মজীবন শুরু করেন লিজ ট্রাস। চাকরি করেছেন টেলিযোগাযোগ এবং বিনোদন সেবা প্রদানকারী সংস্থা-কেবল অ্যান্ড ওয়্যারলেসে। ২০০৫ সালে চাকরি ছাড়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক পরিচালক পদে ছিলেন।
লুইশ্যাম ডেপ্টফোর্ড কনজারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পদে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ট্রাস। ২০০৬ সালে গ্রিনউইচ লন্ডন বরো কাউন্সিল নির্বাচনে এলথাম সাউথের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন ডানপন্থি পপুলিস্ট রাজনৈতিক দল ‘রিফর্ম’-এর উপপরিচালক পদে।
৪৭ বছর বয়সী ট্রাস পার্লামেন্টে আসেন ২০১০ সালে। চার বছর এমপি পদে থাকার পর মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন। দায়িত্ব পালন করেন ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণবিষয়কমন্ত্রী পদেও। পরে টেরিজা মে সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ট্রাস। ২০২১ সালে হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রেক্সিট প্রশ্নে ২০১৬ সালে গণভোটে পূর্বসূরি বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন ট্রাস। এ জন্য দৃঢ়-ত্যাগী রাজনীতিবিদের তকমা জুটেছিল তার।