ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের মধ্যেই ক্রেমলিন জানিয়েছিল, মিত্রদের আধুনিক সমরাস্ত্র দেবে রাশিয়া। এবার ইরানের বিমান বাহিনী প্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তার দেশ চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দেশটির ক্রীড়া সম্পর্কিত পত্রিকা বর্নাকে এমনটাই বলেছেন বিমান বাহিনী প্রধান হামিদ ভাহিদি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান তাদের বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে ৮০-এর দশকের এফ-ফোরটিন যুদ্ধবিমানও সার্ভিসে রেখেছে দেশটি।
তাই বরাবরই ইরান চেয়েছে তাদের বহরে নতুন মাল্টিরোল কমব্যাট যুদ্ধবিমান যুক্ত করতে। সে ক্ষেত্রে তাদের ভরসা রাশিয়াই। কারণ কোনো পশ্চিমা দেশ ইরানের কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে না।
এর আগে সুখোই থার্টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য তেহরান ও মস্কো দীর্ঘ সময় আলোচনা করলেও শেষে তা আর ইরানের বিমান বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়নি।
তবে ভেহেদি রোববার বলেছেন, সুখোই সু-থার্টিএস কেনা এখন আর ইরানের এজেন্ডায় নেই। আমরা ভবিষ্যতে চতুর্থ প্রজন্মের সুখোই সু-থার্টিফাইভএস প্রত্যাশা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে ইরান। এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করায় নজিরবিহীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু রাশিয়াও।
তাই দুই দেশই তাদের অর্থনীতি সামরিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে একে অপরকে সহযোগিতা করছে।
এর আগে ২০০৭ সালে রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৩০০ পেতে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছিল, কিন্তু মস্কো ২০১০ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব মেনে তা বিক্রি স্থগিত করে।
যদিও ২০১৬ সালে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের কাছে এস-৩০০ রয়েছে।