বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এজিয়ানে সামরিক স্থাপনা: গ্রিসকে দেখে নেয়ার হুমকি তুরস্কের

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৫১

তুরস্কের উত্তরের স্যামসুন প্রদেশে এক বক্তব্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, 'আপনাদের (গ্রিসকে উদ্দেশ করে) দ্বীপ দখল আমাদের শৃঙ্খলিত করে না। যখন সময় (উপযুক্ত), মুহূর্ত আসবে, আমরা প্রয়োজনীয় যা করার করব।'

এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে ন্যাটো সদস্য গ্রিসকে হুমকি দিয়েছে আরেক ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এজিয়ান সাগরে থাকা দ্বীপপুঞ্জে সামরিক স্থাপনা বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় গ্রিসকে ‘ভারী মূল্য’ পরিশোধ করতে হবে।

শনিবার তুরস্কের উত্তরের স্যামসুন প্রদেশে এক বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, আপনাদের (গ্রিসকে উদ্দেশ করে) দ্বীপ দখল আমাদের শৃঙ্খলিত করে না। যখন সময় (উপযুক্ত), মুহূর্ত আসবে, আমরা প্রয়োজনীয় যা করার করব।'

এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ একসময় অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল, কিন্তু ১৯২৩ ও ১৯৪৭ সালে করা চুক্তির অধীনে তা গ্রিসের অন্তর্ভুক্ত হয়।

আঙ্কারা বারবার অভিযোগ করে আসছে, গ্রিস দ্বীপগুলোকে সামরিকায়ন করছে এবং জোর দিয়ে বলে আসছে গ্রিস সার্বভৌমত্ব তাদের নিরস্ত্রীকরণ অবস্থার শর্তাধীন।

তুরস্কের অভিযোগ, গ্রিস ন্যাটোর সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। যদিও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিতসোতাকিস অবশ্য তুরস্কের দাবিকে অযৌক্তিক বলছেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউরোপের টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে এস-৩০০ লক করা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

একটি পর্যবেক্ষণ মিশন চালানোর সময় তুরস্কের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে গ্রিসের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডার লক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

সাধারণত কোনো যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার আগে রাডার লক করতে হয়।

গত ২৩ আগস্ট তুরস্কের বিমানবাহিনীর কয়েকটি এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অপারেশন চালাতে এজিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় ক্রিট দ্বীপ থেকে রাশিয়ার নির্মিত একটি এস-৩০০ দ্বারা লকের শিকার হয়েছিল।

গ্রিক মিডিয়াগুলোতে তুরস্কের এই অপারেশনকে উসকানিমূলক বলা হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য ক্রিট দ্বীপে এস-৩০০-এর অবস্থান প্রকাশ করা।

একই সঙ্গে গ্রিসের সামরিক সূত্রগুলো তুরস্কের দাবি অস্বীকার করছে, তারা বলছে সেদিন কোনো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়নি।

গ্রিস ও তুরস্ক উভয়েই ন্যাটোভুক্ত দেশ। সেই হিসেবে তুরস্ক বলছে, ন্যাটোর নিয়মানুসারে এ ধরনের পদক্ষেপ শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং এটি জোটের সঙ্গে বেমানান।

তবে ন্যাটোভুক্ত হলেও দ্বীপের মালিকানা, সমুদ্র অঞ্চল ও শরণার্থী নিয়ে বিরোধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

এর আগে গত মাসে একই অঞ্চলে গ্রিসের এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান তুরস্কের বিমান লক্ষ্য করে রাডার লক করে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রিস ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ন্যাটো মিশনকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে এবং সবশেষ ঘটনা প্রমাণ করে যে এথেন্স আগে থেকেই এমন কিছুর পরিকল্পনা করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর