ভারতের হরিয়ানায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এও প্রকাশ পেয়েছে যে সেই নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এই খুন করা হয়েছে।
রাজ্যের ফতেহবাদ জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ট্রেনে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তার ৯ বছরের ছেলেও ছিল। তার সামনেই এ ঘটনাটি ঘটে।
যখন ট্রেনটি ফতেহাবাদের তোহানা শহরে আসার পর সেই শিশু ছেলেটিকে কাঁদতে দেখে তার বাবা। পরে সে জানায় তার মায়ের সঙ্গে যা হয়েছিল।
ফতেহাবাদ পুলিশপ্রধান আস্থা মোদির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রেনের বগিতে যাত্রী বলতে ছিল ওই নারী ও তার শিশুসন্তান এবং তাদের অপরিচিত একজন পুরুষ।
সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তি প্রথমে নারীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিলে হয় ধস্তাধস্তি। শিশুটি পুলিশকে জানায়, লোকটি তার মাকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর লোকটি ট্রেন থেকে লাফ দেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘আমার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসে আমাকে বলে, একজন আমার মাকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আমার স্ত্রী ২০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তখন স্টেশন থেকে নিতে আসার জন্য আমাকে ফোন দেয়। কিন্তু এখন আর সে বেঁচে নেই।'
পুলিশ পরে সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পায়। ২৭ বছর বয়সী সেই ব্যক্তির নাম সন্দ্বীপ। ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়ে তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ওই নারীর স্বামী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার স্ত্রী রোহতাক নামে একটি এলাকায় থাকছেন, যা তার অবস্থান তোহানা থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে। তোহানায় ফিরতে বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী ট্রেনে রওনা হন।
পুলিশ এবং ওই নারীর পরিবার মধ্যরাত পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশে তার মরদেহ খুঁজতে তল্লাশি চালায়। ট্র্যাকের পাশে অন্ধকার এবং ঝোপের কারণে অনুসন্ধান কঠিন ছিল। শুক্রবার সকালে তারা লাশ উদ্ধার করে।
তোহানায় রেলওয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর জগদীশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপত্তার কোনো ত্রুটি ছিল কি না আমরা খতিয়ে দেখছি। রেলওয়ে পুলিশের রাতে কোচের ওপর নজর রাখার কথা। আমরা দেখব সে সময় কারা দায়িত্বে ছিলেন।’